নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগরীতে স্বামীর বাড়ি থেকে নববধূ শারমিন আক্তার নদী (২২) নামের এক নববধূ নিখোঁজ হয়েছেন। এ ঘটনায় তার স্বামী আরেফিন (২৭) ও তার দুই ননদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। অপর দু’জন হলেন, আরেফিনের বড় বোন সুবর্ণা (৩৫) ও কাজল (২৭)। আটক আরেফিন নগরীর রাজপাড়া মহিষবাথান উত্তরপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে। গত শনিবার সন্ধ্যায় তাদের রাজপাড়া থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। তাদের পুলিশি জিম্মায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নিখোঁজ গৃহবধ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ধরমপুর এলাকার সেকেন্দারের মেয়ে। চলতি মাসের ৮ নভেম্বর আরেফিন ও নদীর বিয়ে হয়। নববধূর বাবা সেকেন্দার জানান, গত বুধবার রাত ৮টার দিকে তার জামাই আরেফিন মোবাইল ফোনে তাকে জানায়
যে, তার মেয়ে শারমিন আক্তার নদী রাত সোয়া ৭টার দিক থেকে নিখোঁজ রয়েছে। তাকে খোঁজাখুজি করেও পাওয়া যায়নি। সম্ভবত কোন ছেলের সাথে চলে গেছে। বিষয়টি জানার তিনিও বিভিন্ন স্বজনের কাছে মেয়েরে সন্ধানের জন্য খোঁজাখুজি শুরু করেন। তিনি গোদাগাড়ী থেকে রাজশাহী শহরে এসে জামাইয়ের সাথে মেয়েকে খুঁজেন। কিন্ত না পেয়ে বৃহস্পতিবার নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর গত শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নদীর স্বামী আরেফিন, দুই ননদ কাজল ও সুবর্ণাকে থানায় নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে যাওয়ার পর তারা পুলিশকে জানিয়েছে যে, তার মেয়ে কোন ছেলের সাথে চলে গেছে। কার সাথে গেছে তারা বিষয়টি জানে না। তিনি আরো জানান, পুলিশ তাকে জানিয়েছেন, তার জামাই আরেফিনকে এ ঘটনায় আসামী করে আইনি ব্যবস্থা
নেয়া হবে। দুই ননদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। এখনো পুলিশ তাদের জিম্মায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তিনি মেয়ের সন্ধান দাবি করেছেন। তিনি আরো জানান, তার মেয়ে ডিগ্রি শেষ বর্ষে পড়াশোনা করতো। বিয়ের আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলেও বিয়ের পর তার কাছে মোবাইল ছিল না। তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নদীর স্বামী ও তার দুই ননদকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের পুলিশি জিম্মায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। গৃহবধূ নদীর সন্ধানের জন্য কাজ করা হচ্ছে।
আর/এস