রাজশাহী মহানগরীতে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। সেই সাথে ছিনতাই হওয়া বিভিন্ন ব্যান্ডের ৮ টি স্মার্ট মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, রাজশাহী মহানরগীর বোয়ালিয়া মডেল থানার দরগাপাড়ার আবুল কালামের ছেলে সোহেল (২০) ও অরিফের ছেলে অমিত (২০), নগরীর উপর ভদ্রা রেলবস্তির সুমনের ছেলে শাকিল (১৯) এবং বেলপুকুর থানার পশ্চিম জামিরা গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে তুখরেজুল ইসলাম শাহেদ (৩০)। গত শুক্রবার ২ জুলাই রাত ১১ টা থেকে শনিবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত মাসের ৯ জুন নাইমুল হাসান (৪৮) এর ছেলে হাসান শাহরিয়ার নাসিফ প্রতিদিনের মত শরীর চর্চা শেষে পায়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় তিনি গোরহাঙ্গা মোড়ে বিআরটিসি কাউন্টারের কাছে পৌঁছালে তিন জন অজ্ঞাতনামা যুবক নাফিসকে ধাক্কা দিয়ে পথরোধ করে এবং তার কাছে থাকা স্যামসং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর তাকে মারধর করে আটক রাখে এবং ছেড়ে দেওয়া শর্তে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে বিকাশে দুই হাজার টাকা দাবী করে। নাফিসের বাবা তার ছেলের অবস্থান জানতে চেয়ে স্বশরীরে হাজির হয়ে টাকা দিতে চাইলে ছিনতাইকারীরা বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে বলে। তখন নাফিসের বাবা তাৎক্ষনিক ছেলের খোঁজে বের হন এবং ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানায় এবং ছেলেকে উদ্ধারের জন্য পুলিশি সহযোগীতা চান। ইতিমধ্যেই ছিনতাইকারীরা নাফিসকে নিয়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে। একপর্যায়ে নাফিস সুযোগ বুঝে দৌড় দিয়ে ছিনতাইকারীদের হাত থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার প্রেক্ষিতে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়।
মামলার পর পুলিশ ওই সময়ের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহপূর্বক পর্যালোচনা করে আসামীদের শনাক্ত করে। এরপর গত শুক্রবার রাত ১১ টা থেকে শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামী সোহেল (২০) ও শাকিল (১৯)কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায়, ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন তুখরেজুল ও অমিতের কাছে বিক্রি করেছে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে শনিবার সকালে বোয়ালিয়া মডেল থানার গৌরহাঙ্গা মোড় থেকে আসামী তুখরেজুল এবং অমিতকে আটক করেন। এসময় তাদের কাছে থেকে নাফিসের ছিনতাই হওয়া মোবাইল সহ আরো ৮ টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্ট মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার হয়। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এস/আর