নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় হাজার টাকার উপরে ধানের দাম উঠেছে। আর গোখাদ্য খড়ের দামও বেশ চড়া। আগে যেই খড় বিক্রি হতো হাজার থেকে ১২০০ টাকায় এবার সেটা উঠেছে ৪ থেকে ৫ হাজারে। ধান ও খড় উভয়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষ ও খামারীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে তানোর, গোদাগাড়ী, পুঠিয়া ও দুর্গাপুর উপজেলায় বেশি আমন ধান চাষ হয়। আমন ধানের পরে চাষ হয় বোরো। তবে কালবৈশাখির বৃষ্টির কারণে গত ২/১ মৌসুম থেকে বোরো ধান তুলতে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে কৃষকদের। এবারো ব্যতিক্রম হয়নি। এবারো পানি হয়েছিল। তবে আমন ধানের তুলনায় বোরো ধান বেশি চাষ হয়। কিন্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে বোরো ধানের খড়
তেমন ব্যবহার করতে পারেননা কৃষকরা। এ কারণে সংকট আরো বেশি দেখা দেয়।
অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবার কৃষকরা ধানের দাম ভালো পেয়েছিলেন। বিশেষ করে চিকন স্বর্ণা, আটাশ ও একান্ন ধানের দাম অনেক বেশি। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিভিন্নভাবে খড়ও বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি হওয়ার পরেও গোখাদ্য খড়েরও সংকট দেখা দিয়েছে।
আরো জানা গেছে, বর্তমানে স্বর্ণা ধান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা মন, আটাশ ধান মান অনুযায়ী ১০৫০ টাকা মন ও একান্ন ধানও হাজার টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। ধানের দাম বেশি হওয়ায় আরো বেশি সমস্যার মধ্যে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় চালের দামের উপর প্রভাব পড়ছে। চালের বাজার জেলার উপজেলা ও মহানগরীর বাজারেও উর্ধ্বমুখি।
সাইমুম নামের একব্যক্তি বলেন, ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণে চালের দামও বাড়ছে। এবার করোনার কারণে তেমন আয় না থাকার কারণে আরো বেশি সমস্যার মধ্যে পড়েছি।
এদিকে, শুধু ধানই নয় গোখাদ্য খড়ের সংকটও চলছে। আর দামও বেড়েছে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এবার খড় বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। অর্থ্যাৎ প্রতি পিস খড় এখন বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে ৫ টাকায়। বোরো ধানের খড় নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এ সমস্যা আরো প্রকট হয়েছে।
রাব্বুল নামের এক খামারি বলেন, খড় পর্যাপ্ত না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছি। এখন গোখাদ্য খড়ের চরম সংকট চলছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন, ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা খুশি রয়েছে।
এমকে