নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর কাটাখালি থানার কিসমত কুখন্ডি বাইপাস সড়কে গরু ব্যবসায়ীকে খুন করে আড়াই লাখ টাকা ছিনতাই করা হয়েছে। গরুর হাট থেকে ফেরার সময় গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ট্রাকে উঠিয়ে বাবা ও চাচাকে বেঁধে যুবককে হত্যার পর তাদের কাছে থাকা আড়াই লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার দিনগত রাতে রাজশাহীর কাটাখালী থানার কুখন্ডি বাইপাস সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম জরিপ উদ্দিন মৃধা (৩৬)। তার বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলায়। বাবার নাম আলাল উদ্দিন মৃধা (৬০)। চাচা মোশাররফ হোসেন মৃধা। তারা গরু ব্যবসায়ী। পুলিশ জরিপ মৃধার মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান,
নাটোরের সিংড়া থেকে এরা তিনজন সিটি হাটে গরু কিনতে এসেছিলেন। তাদের কাছে আড়াই লাখ টাকা ছিল। তারা গরু ব্যবসায়ী। সিটি হাট থেকে গরু কিনে তারা নাটোরে নিয়ে বিক্রি করেন। কিন্তু দামে পড়তা না পড়ায় হাট থেকে গরু না কিনে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন।
তিনি বলেন, কোনো যানবাহন না পেয়ে তারা একটি ট্রাকের উঠে পড়েন। ট্রাকটি সিটি বাইপাস হয়ে খড়খড়ি এলাকায় পৌঁছালে আরও তিনজন ওই ট্রাকে ওঠে। এ সময় ওই তিন দুর্বৃত্ত জরিপের বাবা ও চাচাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে এক পর্যায়ে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে জরিপের মাথায় আঘাত করা হয়। এতে তার মৃত্যু হয়। এ সময় তার কাছে থাকা প্রায় আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কুখন্ডি বাইপাস এলাকায় গিয়ে ওই
তিনজনকে ট্রাক থেকে ফেলে দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, কাটাখালি থানার একটি টহল টিম ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। তারা ওই তিনজনকে পড়ে থাকতে দেখে কাছে যায় এবং সব ঘটনা জানতে পারে। পরে নিহত জরিপের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। বর্তমানে জরিপের বাবা ও চাচা পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, যারা খুন ও ছিনতাই করেছে, তারা সংঘবদ্ধ একটি চক্র। গভীর রাতে ট্রাক নিয়ে তারা ঘুরে বেড়ায়। তারা যাত্রী পরিবহনের নামে লোক উঠিয়ে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে মারধর করে এবং টাকা ছিনতাই করে নামিয়ে দেয়। ঘটনার পর থেকে ওই ট্রাকটি খুঁজছে পুলিশ। এ ব্যাপারে বিভিন্ন থানায় বেতার বার্তা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া থানায় হত্যা মামলা হবে।
আর/এস