নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগরীর লক্ষীপুর মোড়ে অবস্থিত রাজশাহী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় সুলতানা (৩০) নামের এক প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেয়। ওই গৃহবধু নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার নতুন হড়গ্রাম এলাকার জোহরুলের স্ত্রী।
জানা গেছে, গৃহবধূ সুলতানা প্রসব ব্যথা নিয়ে গত ১৭ এপ্রিল রাজশাহী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। এরপর গতকাল বুধবার সকাল ৮টার দিকে সিজারিয়ানের মাধ্যমে তার একটি পুত্র সন্তান হয়। অপারেশনের পর তাকে এক ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে ওই রোগীর অবস্থা খারাপ হলে ক্লিনিক থেকে চিকিৎসক ডা. মনোয়ারাকে বিষয়টি জানানো হয়। বিষয়টি জানতে পেরে মনোয়ারা ক্লিনিকে গিয়ে ওই গৃহবধূকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রোগীর স্বজনরা ক্লিনিকের সামনে ভিড় জমায়। খবর পেয়ে রাজপাড়া থানা ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
পরে ক্লিনিক মালিক সমিতি ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে পুলিশের সামনেই সমঝোতা হয়। মুচলেকা দিয়ে লাশ নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ডা. মনোয়ারা বলেন, এর আগে রোগী আমার কাছে দেখানো হয়নি। আমি বুধবার সকালে তার সিজারিয়ান করেছিলাম। তখন রোগী ভালই ছিল। রক্ত শূণ্যতা ছিল। তাকে এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে অপারেশন করা হয়। রোগীর স্বজনদের আরো দুই ব্যাগ রক্ত জোগাড় করার কথা বলা হয়। তারপর রোগীর অবস্থা ভাল দেখে তারা রক্ত জোগাড় করেনি। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ভাল ছিল। হঠাৎ করে রোগীর শ^াসকষ্ট ও খিঁচুনি শুরু হয়। ক্লিনিক থেকে খবর দেওয়া হলে গিয়ে রোগীকে দেখে রক্তের কথা বলি। তারা দ্রুত রক্তের ব্যবস্থা করতে পারেনি। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই খিঁচুনি হয়ে রোগী মারা যায়।
এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, রোগী মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। পরে রোগীর স্বজনরা মুচলেকা দিয়ে লাশ নিয়ে যায়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে