1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
রাজশাহীতে কঠোর লকডাউনেও যানবাহন ও মানুষের চলাচল বাড়ছে - খবর ২৪ ঘণ্টা
সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে কঠোর লকডাউনেও যানবাহন ও মানুষের চলাচল বাড়ছে

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১০ জুলা, ২০২১

কঠোর লকডাউনের মধ্যেও রাজশাহী মহানগরীতে মানুষ ও অভ্যন্তরীণ যানবাহন চলাচল ছিল অন্যান্য দিনে চোখে পড়ার মতো। ছুটির দিন হওয়ার পরেও অটোরিক্সা ও রিক্সা এবং সিএনজি চলাচল ছিল চোখে পড়ার মতো। অন্যদিনের তুলনায় এদিন লকডাউন হওয়া স্বত্বেও অনেক বেশি যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। বাইরে থেকেও বিপুল পরিমাণ মানুষ নগরে প্রবেশ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও অন্য দিনের তুলনায় তেমন কড়াকড়ি করতে দেখা যায়নি। রাজশাহী লকডাউনের ২৯ দিন চলছে। প্রথমে স্থানীয়ভাবে লকডাউন চললেও ১ জুলাই থেকে সারাদেশে লকডাউন চলছে। রিক্সা, অটোরিক্সা ও সিএনজিও বেশি চলেছে। আজ শনিবার সকাল থেকেই আনাগোনা বাড়তে থাকে। এছাড়াও নগরের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকতে দেখা যায়। আবার একদিন সার্টার খুলে ব্যবসা করতে দেখা গেছে। বিকেলে নগরে আরো বেশি যানবাহন চলাচল করেছে।

আবার অভিযোগ উঠেছে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অন্য চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাইরে থেকে রোগী রাখতে আসা এ্যাম্বুলেন্সগুলো ফেরার সময় যাত্রী তুলে নিয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী শহর থেকে বিভিন্ন স্থানে যাওয়া এ্যাম্বুলেন্সগুলোর ক্ষেত্রেও একই চিত্র। নগরবাসী বলছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটু নজরদারি করলেই বিষয়টি হাতেনাতে ধরা যাবে। পাড়া-মহল্লা ও নগরের প্রবেশ পথে আরো কড়াকড়ি আরোপ করলে অপ্রয়োজনে বের হওয়া লোকজন ঠেকানো যাবে।

আজ শনিবার বিকেলে রাজশাহী মহানগরীর রেলগেট থেকে ছবিটি তোলা

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী জেলা রাজশাহীতে করোনা সংক্রমণ দ্রæত বেড়ে যাওয়ায় গত জুন মাসের ১১ তারিখ থেকে ৭ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ১৭ জুন ৭ দিন শেষ হওয়ার পরে সংক্রমণ না কমায় আরো ৭ দিন লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়া হয় রাজশাহীর স্থানীয় যৌথ প্রশাসনের সভায়। এরপর সারাদেশেই করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউন দেয়া হয়।
এদিকে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন ১০ জনের উপর করোনা ভাইরাসে চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। আবার বিভাগের মধ্যে রাজশাহী জেলায় করোনা সংক্রমণের হার অনেক বেশি। ২৯ দিন লকডাউন চললেও তেমন করোনা সংক্রমণ কমেনি। স্থানীয় সচেতন মানুষ বলছেন, করোনা সংক্রমনের হার কমাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা লকডাউনের সাথে সাথেই রাজশাহীকেও লকডাউন ঘোষণা করা প্রয়োজন ছিল। কারণ তখন প্রচুর পরিমাণ চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ রাজশাহীতে প্রবেশ করে।

উল্লেখ্য, রাজশাহী জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৯ হাজার ৭৩৮ জনের। শনাক্তের বেশির ভাগ রাজশাহী মহানগর এলাকায় ১৫ হাজার ৮৭৮ জন। বাঘা উপজেলায় ৪৬০ জন, চারঘাট উপজেলায় ৫৪১ জন, পুঠিয়া উপজেলায় ৪৯৫ জন, দুর্গাপুর উপজেলায় ৪১৬ জন, বাগমারা উপজেলায় ৩৯৩ জন, মোহনপুর উপজেলায় ৩১৮ জন, তানোর উপজেলায় ৩৫৬ জন, পবা উপজেলায় ৫০২ জন ও গোদাগাড়ীতে ৩৭৭ জন। রাজশাহী জেলায় শনাক্তের হার ১৮ শতাংশ। রাজশাহী জেলায় প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ১২ এপিল ও নগরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ১৫ মে। জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৭১ জনের।

এস/আর

 

 

 

 

 

 

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST