রাবি প্রতিনিধিঃ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের ৫ কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু তাদের পুলিশে সোপর্দ করেন।
এর আগে রবিবার রাতে এবং সোমবার দুপুরে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের তিনজন আহত হয়।
আটকরা হলেন, রাবি ছাত্রলীগের কর্মী সাকিব আহমেদ, শহীদ হাসান, ফয়সাল আহমেদ, শাহাদাৎ ও নিতাই।
জানা গেছে, রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সুসম্পর্ক থাকলেও সম্প্রতি তাদের অনুসারী নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা ইস্যুতে মতপার্থক্য দেখা দেয়। এরই জেরে রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে সভাপতির অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী শাহাদাৎ এবং নিতাইয়ের সাথে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী ফেরদৌস মাহমুদ শ্রাবণের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শ্রাবণ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাবিরুল জামিল সুস্ময় এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান মিশুকে ডেকে এনে নিতাইকে মারধর করে। জানতে পেরে সভাপতির অনুসারীরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রাবণকে মারধর করে। এনিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
এরপর সোমবার দুপুরে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী সাকিবকে মারধর করা হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ক্যাম্পাসে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলে জড় হয়। পরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক টানা তিন ঘণ্টা আলোচনার পর বিষয়টি মীমাংসা করেন। এসময় হলের বাইরে ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী অবস্থান নেয়। পরে হল থেকে ছাত্রলীগের পাঁচ কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, নিজেদের মধ্যে মারামারি করায় ছাত্রলীগের পাঁচ কর্মীকে পুলিশে দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ছাত্রলীগের মধ্যে যারা উশৃঙ্খল কাজ করবে তাদের ম্যাসেজ দেয়া হয়েছে। সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কোন কর্মকাণ্ড রাবি ছাত্রলীগ বরদাস্ত করবে না।
রাবি প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার পরপরই আমি ওই হলে গিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে নিজেদের মধ্যে এই ধরনের মারধরের ঘটনা আর ঘটবে না।
নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দ্বলে ক্যাম্পাসে মারামারির ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পাঁচ কর্মীকে পুলিশে তুলে দিয়েছে। তারা মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ অভিযোগ না করলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ