নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চাপ কমাতে সরকারি সিদ্ধান্তে তৃতীয় দফায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১২৯ জনকে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে মুক্তির নির্দেশ পাওয়ার পর ৭৭ জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। একজন জটিলতায় মুক্তি পাননি। তৃতীয় দফার ১২৯ জন এর মধ্যে এখন কারাগারে বন্দি রয়েছেন ৫২ জন। শর্ত পূরণ না হওয়ায় ও জরিমানার অর্থ পূরণ না করায় এবং অন্যান্য মামলায় জামিন না পাওয়ায় তারা এখনো কারাগারে বন্দী রয়েছে। শর্ত পূরণ হলে এ ৫২ জনকে ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন বলেন, তৃতীয় দফায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১২৯ জনকে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। আদেশ পাওয়ার পর ৭৭ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। একজন শর্তপূরণ জটিলতায় মুক্তি পাননি। বাকি ৫২ জন অন্যান্য মামলার আসামি ও অর্থদণ্ড পরিশোধ না করায় মুক্তি পাননি। অর্থদন্ড পরিশোধ করলে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগের বিস্তার রোধে কারাগারগুলোতে ভিড় কমাতে সরকার লঘু অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা মওকুফ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। যার প্রেক্ষিতে আমাদের কাছ থেকে কারা অধিদপ্তর এ রকম বন্দিদের তালিকা কিছুদিন আগে নিয়েছিল। প্রথম দফায় ৩৩ জন কয়েদিকে ছেড়ে দেয়ার জন্য দাপ্তরিক আদেশ পেয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। যাদের কারাদণ্ডের মেয়াদ এক বছর কিন্তু ছয়মাস বা তারও বেশি সাজা খেটেছেন এ রকম কয়েদিদেরই সাজা মওকুফ করা হয়েছে। যে
মামলায় সাজা হয়েছিল সে মামলায় এসব বন্দিদের আর কারাভোগ করা লাগবে না। কারণ সেই মামলার সাজা একেবারেই মওকুফ করেছেন সরকার। তবে এসব বন্দিদের জরিমানা আরোপিত থাকলে সেটা পরিশোধ না করা পর্যন্ত মুক্তি পাবেনা। প্রথম দফায় ৩৩ জন ও দ্বিতীয় দফার ৬৫ জনকে মুক্তির নির্দেশ দেয়া হয়। এরমধ্যে কিছু কয়েদি শর্ত পূরণ করে ছাড়া হয়েছে। বাকি কয়েদিদের অর্থদণ্ড পরিশোধ না করায় তাদের মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় দফার এখনো কয়েকজন কারাগারে বন্দি রয়েছে। আর তৃতীয় দফার ১২৯ জনের মধ্যে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ৭৭ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। শর্ত পূরণ হলে বাকিদেরও মুক্তি দেয়া হবে। উল্লেখ্য, তিন দফা মিলে রাজশাহী কারাগার থেকে ২২৭ জনকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
এমকে