প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বছর শেষে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের বার্তা আর আল্লাহ্ তাআলার তরফ থেকে বেশুমার নেয়ামত নিয়ে মাহে রমজান আমাদের কাছে উপস্থিত। আহ্লান সাহ্লান মাহে রমজান; স্বাগতম মাহে রমজান; খোশ আমদেদ মাহে রমজান।
১৪৪৪ হিজরি বছর আগে উম্মতে মুহম্মদীর ওপর রোজা ফরজ হয়েছিল। সেই থেকে অদ্যাবধি মুসলিম উম্মাহ্ মাসের সেরা মাস রমজানুল মোবারকে সিয়াম সাধনার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। আরবি বারো মাসের মধ্যে রমজান হচ্ছে নবম মাস।
রমজান আরবি শব্দ। যা বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু মূলত: এর অর্থ হচ্ছে ভস্ম করে দেয়া, ঝলসে দেয়া। এ মাসটির নামকরণের কারণ হচ্ছে, সর্বপ্রথম রোজার বিধান যে মাসে এসেছিল সে মাসটি ছিল গরমের। ঝলসে দেয়ার মতো গরম, তাই এর নাম রাখা হয়েছে ‘রমজান। তবে আলেমগণ বলেন, ‘বান্দাহ্ এ মাসের বিধানাবলি সূচারুরূপে পালন করে বিধায় আল্লাহ্তাথআলা তার সমস্ত পাপকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ভস্ম করে দেন। তাই এ মাসকে ‘রমজানথ বলা হয়।
রহমত, মাগফিরাত ও দোজখ থেকে মুক্তি লাভের মাস রমজান। আসমানী বরকতে ভরপুর এ মাসে বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ (সা.)-এর উপর অবতীর্ণ হয়েছিল মুসলিম উম্মাহ্র একমাত্র পথনির্দেশিকা মহাগ্রন্থ আল-কোরআন। সাওম আরবি শব্দ। এর বহুবচন হচ্ছে সিয়াম। আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা।
আল্লাহ্ পাক বলেন, সিয়াম আমার জন্য এবং এর প্রতিদান আমি নিজেই। কেননা সিয়াম পালনকারীরা একমাত্র আমারই সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পানাহার ও প্রবৃত্তির চাহিদা পরিত্যাগ করে থাকে। কোরআনুল ক্বারিমে বর্ণিত হয়েছে- ‘ইয়া আইয়ুহাল্লাজিনা আ-মানু কুতিবা আলাইকুমুস সিয়ামু কামা কুতিবা আলাল লাজিনা মিন কাবলিকুম লাআল্লাকুম তাত্তাকুন।থ অর্থাৎ হে মমিনগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরজ করা হয়েছিল। যাতে তোমরা তাক্বওয়া অবলম্বন করতে পারো।
অতএব, রমজান মাসে আমাদের রোজা রাখার মূল উদ্দেশ্য হবে তাক্ওয়া অর্জন করা। আল্লাহ্তাআলা আমাদের সবাইকে তাক্ওয়া অর্জন করার মতো রোজা রাখার তৌফিক দান করুন। আমিন।
বিএ/