খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: আমেরিকার সঙ্গে হঠাৎ পরমাণু যুদ্ধ শুরু হলে সে দেশের কোন কোন লক্ষ্যবস্তুতে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হানা হবে তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল।
চ্যানেলের প্রধান নিউজ শো’ অ্যাংকার দিমিত্রি কিসলিয়োভ আমেরিকার একটি মানচিত্র তুলে ধরে বেশ কিছু টার্গেটের নাম উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে বলেন, পরমাণু যুদ্ধ শুরু হলে এসব লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে মস্কো। এসব টার্গেটের মধ্যে রয়েছে পেন্টাগন ও ক্যাম্প ডেভিড। কিসলিয়োভ বলেন, যুদ্ধ লাগলে পাঁচ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে এই সমস্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হবে।
হঠাৎ এমন তথ্য কেন ওই সংবাদমাধ্যম সামনে আনল তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, তাহলে কি আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের আশঙ্কা! যদিও সে সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন পর্যবেক্ষকদের অন্য অংশ। তাঁদের দাবি, আমেরিকাকে চাপে রাখতে একটা কৌশল মাত্র রাশিয়ার।
অন্যদিকে, রুশ টিভি চ্যানেলের এই উপস্থাপক আরও যেসব লক্ষ্যবস্তুর নাম বলেন সেগুলোর মধ্যে রয়েছে মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র- ফোর্ট রিচি এবং ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সামরিক বিমান ঘাঁটি- ম্যাকক্লেল্লান। ১৯৯৮ সালে ফোর্ট উইলিয়াম বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং ম্যাকক্লেল্লানও ২০০১ সালের পর থেকে আর ব্যবহৃত হচ্ছে না বলে মার্কিন সূত্র জানিয়েছে।
ঠান্ডা যুদ্ধের সময় আমেরিকা ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি ঐতিহাসিক পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ঘোষণা দিয়েছেন তা নিয়ে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে বর্তমানে উত্তেজনা চলছে।
মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মাইক পম্পেও গত ১ ফেব্রুয়ারি বলেছেন, আইএনএফ নামক ওই চুক্তি ১৮০ দিনের জন্য স্থগিত রাখতে পারে ওয়াশিংটন। তার ভাষায় রাশিয়া এই চুক্তি লঙ্ঘন বন্ধ না করলে মার্কিন সরকার ওই ১৮০ দিন পার হওয়ার পর স্থায়ীভাবে বেরিয়ে যাবে বলে তিনি হুমকি দেন।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন