রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ছয় ইউনিয়নের (ইউপি) নির্বাচনে মোট পাঁচজন নৌকা মার্কার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন। এতে করে অনেকটা হিমসিম খেতে হতে পারে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার।
এমনটি মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন ইউপির ভোটাররা। এই ছয় ইউপির চারটিতে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাদের ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্ত পেতে অপেক্ষায় রয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। তবে যারা আবার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তারা কি শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে গড়াবেন কিনা তাও দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন এই চার ইউপির ভোটাররা।
গত ১১ নভেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় ছিলো। গত ১২ নভেম্বর প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন অফিস। নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থীরাও প্রতিক পেয়েছেন। জানা গেছে, ছয় ইউপির ধুরইল ও মৌগাছি ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলেও সতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন শক্ত অবস্থানে। আর ঘাষিগ্রাম, রায়ঘাটি, জাহানাবাদ ও বাকসিমইল এই চার ইউপিতে রয়েছেন নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী। ঘাষিগ্রাম ইউপিতে নৌকার প্রার্থী আজাহারুল ইসলাম বাবলু। এর বিপরীতে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা আফজাল হোসেন বকুল।
যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হলেও তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন। তিনি প্রতীক পেয়েছেন আনারস মার্কা। রায়ঘাটি ইউপিতে রয়েছেন নৌকার প্রার্থী বাবলু হোসেন। এর বিপরীতে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা শ্রী সুরঞ্জিত কুমার সরকার পেয়েছেন চশমা মার্কা প্রতীক ও আরেকজন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আক্কাস আলী পেয়েছেন আনারস মার্কা প্রতীক। জাহানাবাদ ইউপিতে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল লতিব পেয়েছেন আনারস মার্কা প্রতীক।
এছাড়াও উপজেলা সদর বাকসিমইল ইউপিতে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মমিন শাহ গাবরু পেয়েছেন আনারস মার্কা প্রতীক। উল্লেখ্য, আগামী ২৮ নভেম্বর এ উপজেলার ছয় ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
জেএন