খবর২৪ঘণ্টা.বিনোদন,ডেস্ক: মানুষ ধীরে ধীরে মেশিন হয়ে যাচ্ছে। একে অন্যের সংস্পর্শ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে ব্যাপারটা একেবারেই সাপোর্ট করি না আমি। ছেলেমেয়েদেরও সব সময় বলি, ‘‘গ্যাজেট-নির্ভর হবে না। সকলের সঙ্গে মেশো, গল্প কর।’’ আমাদের ছোটবেলায় বন্ধুরা মিলে খেলতে যেতাম, আড্ডা দিতাম। আর এখন সব বন্ধুত্বই যেন ওই মুঠোফোনে আবদ্ধ। একটা পর্যায়ের পর এটা মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতিও করে। মনকে ক্লান্ত করে দেয়, ভোঁতা করে দেয়। ইন্টারনেটের অত্যধিক ব্যবহারে ছবি আঁকা, লেখালিখি করার অভ্যেস চলে যাচ্ছে ছোটদের। আজকাল সকলে টাইপ করে, কেউ কাগজ-কলমে
লেখে না।
যে কোনও জিনিসেরই ভাল-মন্দ থাকে। সোশ্যাল মিডিয়াও তাই। সোশ্যাল মিডিয়ার উপর অত্যধিক নির্ভরতা মানুষকে আচ্ছন্ন করে ফেলছে। সরাসরি আদানপ্রদানের জায়গাটা ক্ষীণ হয়ে আসছে ক্রমশ। একটা বৈবাহিক সম্পর্কে দু’জন মানুষের পরস্পরের সঙ্গ দরকার হয়। সেখানে একে অন্যের সময় চাওয়াটা খুব স্বাভাবিক । অত্যন্ত জরুরিও। তা বলে সময় না দিতে পারার এমন ভয়ংকর পরিণতিও ভাবা যায় না! স্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ার নেশা অন্যভাবেও হ্যান্ডল করতে পারত স্বামী। সেটা না করে চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে।
টেলিফোন তো কবে থেকেই আছে। সেজন্য কি মানুষে-মানুষে এত বিভেদ তৈরি হয়েছিল কখনও? বরং টেলিফোন দু’জনকে অনেক কাছাকাছি এনে দিত। আর এখন মোবাইল ফোন ঘরের লোকের মধ্যেই দূরত্ব তৈরি করে দিচ্ছে। আমার ছেলেরও ‘ইন্টারনেট অ্যাডিকশন’ রয়েছে। আগে আমি কাজের চাপে ওকে সময় দিতে পারতাম না। আর এখন আমাকে ওর থেকে সময় চাইতে হয়!
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জন