খবর২৪ঘণ্টা,আন্তর্জাতি ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে মেক্সিকোর সাথে সীমান্ত নিরাপদ করার জন্য অচিরেই সেখানে সৈন্য পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে এক বক্তব্যে তিনি বলেছেন, এখন থেকে সামরিকভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। আর সেটি হতে যাচ্ছে একটি বড় ধরণের পদক্ষেপ।
এর আগে হন্ডুরাস থেকে একটি ক্যারাভ্যানে করে শরণার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে রওনা হয়েছে, এমন খবর প্রকাশের পর দেশটিকে দেয়া সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত নিরাপদ করার জন্য এর আগের দুই প্রেসিডেন্ট ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছিলেন। সীমান্তের শেষ সীমা প্রহরার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও শত শত সৈন্য পাঠিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ সীমান্তে ‘অপারেশন জাম্প স্টার্ট’ শুরু করেছিলেন আর তাতে বর্ডার পেট্রলকে সাহায্য করার জন্য হাজার হাজার সৈন্য পাঠিয়েছিলেন।
বাল্টিক দেশসমূহের নেতাদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের পর সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, মেক্সিকো যতদিন সীমান্তে পথে অবৈধ মানব-পাচার বন্ধ না করবে, ততদিন পর্যন্ত উত্তর অ্যামেরিকা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নাফটার ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
সকালে ট্রাম্প একটি টুইট করেন। হন্ডুরাস থেকে ক্যারাভ্যানে করে রওনা দেয়া শরণার্থীদের নিয়ে তৃতীয়বারের মত করা টুইটে তিনি লেখেন, মেক্সিকো সীমান্ত হয়ে এই শরণার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়তে চায়। দুর্বল সীমান্ত আইনের কারণে সেটি ঘটার সুযোগ লোকে নেবে। কিন্তু সেই ক্যারাভ্যান যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর আগেই থামানোর ওপর জোর দেন তিনি।
এ নিয়ে ফক্স নিউজে প্রচারিত একটি প্রতিবেদন দেখার পর প্রথম টুইটটি তিনি করেন গত রবিবার। গত কয়েকদিন ধরেই অভিবাসী বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এজন্য ডেমোক্রেটদের দোষারোপ করে তিনি বলছেন, তারাই সীমান্ত খুলে দিয়ে অভিবাসী, মাদক আর অপরাধের বিস্তার ঘটাতে দিয়েছে।
মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর কবে বানাচ্ছেন ট্রাম্প?
মেক্সিকো সীমান্তে একটি ‘বড় ও সুন্দর দেয়াল’ বানানো হবে, এটি ছিল ট্রাম্পের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। কিন্তু সিনেট ও কংগ্রেসে পর্যাপ্ত সমর্থন না থাকায় এখন পর্যন্ত নিয়ে এ বিষয়ে বড় কোন অগ্রগতি হয়নি।
তবে, গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সই করা একটি বড় সরকারি ব্যয়ের বিলে দেখা গেছে, সীমান্তে দেয়াল তৈরির জন্য ফেডারেল সরকারকে ১৬১কোটি ডলার দেয়া হয়েছে। কিন্তু, দেয়াল বানাতে হোয়াইট হাউজ আড়াই হাজার কোটি ডলার চাইলেও, অর্থায়ন বিষয়ক কংগ্রেস কমিটি তা অনুমোদন করেনি। বরাদ্দকৃত বাজেটের বড় অংশটি বর্তমানে সীমান্তের যে তিন হাজার কিলোমিটারের বেশি এলাকায় দেয়াল আছে, তার সংস্কারে ব্যয় করা হতে পারে।
এর বাইরে গত মাসে পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে, দেয়াল তৈরির জন্য পেন্টাগনের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য নেবার ব্যপারে ট্রাম্প প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা বলেছেন।
এদিকে, সোমবার ডেমোক্র্যাটিক দলের দুইজন পেন্টাগন প্রধানের কাছে লেখা এক চিঠিতে জানিয়েছেন, পেন্টাগনের বাজেট প্রতিরক্ষা কাজে ব্যয় করা ছাড়া অন্য কোনও কাজে লাগানোর বৈধ এখতিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেই।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ