রাজশাহী মহানগরীতে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে পুলিশ কর্মকর্তা বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ছেলে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে মামলা রেকর্ড করে নগরীর চন্দ্রিমা থানা পুলিশ।
অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা রাজশাহী মহানগরের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।
মামলার বাদী নাফিজ ইসলাম (২২)। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। গত ৫ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন নাফিজ। তিনি অভিযোগ তুলেন ঘটনার শুরু থেকেই মামলা না নিয়ে তাকে ঘোরাচ্ছিলেন পুলিশ । এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।
মামলায় অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম নুরুল ইসলাম (৬৩)। গত ৩০ মে বিকেলে সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তার পদ্মা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে তাঁর স্ত্রী নাজমা ইসলামের (৫৭) ঝুলন্ত মরদেহ সিলিং ফ্যান থেকে নিচে নামান ভবনের লোকজন।
পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নগরের চন্দ্রিমা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়।
এ ঘটনার তিন মাসের বেশি সময় পর এই দম্পতির ছেলে নাফিজ ফেসবুকে মায়ের হাতে লেখা সুইসাইড নোট ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ছবি দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। তাঁর বাবার অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের কারণে মা আত্মহত্যা করেছেন। সে বলেন, আমার মায়ের সঙ্গে তো অপরাধ করা হয়েছে। সেটা আমি কীভাবে চেপে থাকব।
আমি একটি অপরাধের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এ অপরাধের শাস্তি হওয়া দরকার।
নগরীর চন্দ্রিমা থানার (ওসি) এমরান আলী জানান, নাফিজ থানায় আসামাত্রই তাঁরা মামলা নেওয়া হয়েছে । তাঁকে ঘোরানোর অভিযোগ সঠিক না। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা তদন্তাধীন ছিল। তাই মামলা নিতে বিড়ম্বনা হয়েছে । ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মামলা নেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলা হয়েছে।
বিএ/