খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায় ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এই ৬ মাসে মোট ২ হাজার ৬৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৫৯২টি। তন্মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ৯৮ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২৯ জনকে, এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৬১ জনকে।
গত সোমবার মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বানু এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৪টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। মহিলা পরিষদ মনে করে, নারী নির্যাতনের সকল ঘটনা পত্রিকায় প্রকাশিত হয় না। তাই প্রকৃত নারী নির্যাতনের ঘটনা আরও অনেক বেশি।
প্রকাশিত প্রতিবেদন মতে উক্ত সময়ে ২৩ জন নারী শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৬৫ জন নারী ও কন্যাশিশু। উক্ত সময়ে এসিডদগ্ধ হয়েছে ১০ জন নারী। তন্মধ্যে এসিডদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয় ২ জনের। অগ্নিদগ্ধের ঘটনা ঘটেছে ৪৫টি। তন্মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১০ জন নারীর। একই সময় অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ৭৭টি। ১৩ জন নারী ও শিশু পাচার করা হয়েছে। তন্মধ্যে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে ৪ জনকে। উক্ত সময়ে বিভিন্ন কারণে ২৬৮ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে এবং আরও ২৭ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। গত ছয় মাসে ১৩ জন গৃহপরিচারিকাকে নির্যাতন করা হয়েছে। তন্মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ৩ জনকে এবং নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন ২ জন গৃহপরিচারিকা।
একই সময় যৌতুকের জন্য হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১১৩ জন নারী ও কন্যা শিশু। তন্মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ৫১ জনকে। প্রতিবেদনে দেখা যায় এ সময় উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ৯০ জন নারী ও কন্যাকে। তন্মধ্যে উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে ১১ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ১৫৪ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ৯ জন নারী ও কন্যাশিশু ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয় ১৫ জন কে। উক্ত সময় ১৮৮ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে ৮৪ কিশোরী। শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ১৭১ জনকে। একই সময় বেআইনি ফতোয়ার ঘটনা ঘটেছে ৭টি। পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩ জন। ২০ জনের জোরপূর্বক বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া এসময় ৬৮টি অন্যান্য নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।