খবর২৪ঘণ্টা.বিনোদন,ডেস্ক: আশি ও নব্বইয়ের দশকে বাংলা চলচিত্রে দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন আলমগীর। পারিবারিক টানাপোড়ন, সামাজিক, অ্যাকশন, রোমান্টিক, ফোক ফ্যান্টাসিসহ সব ধরণের চলচ্চিত্রে তিনি ছিলেন সফল। তাকে মহানায়ক হিসেবেও অভিহিত করা হয়। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক, গায়ক ও পরিচালক হিসেবে সুনাম তিনি কুড়িয়েছেন। আজ এই মহানায়কের জন্মদিন।
১৯৫০ সালের ৩ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন নায়ক আলমগীর । তার বাবা কলিম উদ্দিন আহমেদ (দুদু মিয়া) ছিলেন ‘মুখ ও মুখোশ’ ছবির অন্যতম একজন প্রযোজক।
আলমগীর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আমার জন্মভূমি’। তার অভিনীত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ছিল ‘দস্যুরানী’। এতেই প্রথম তিনি শাবানার সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেন। দর্শকের কাছে আলমগীর-শাবানা জুটি ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিলো।
আলমগীর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো- চাষীর মেয়ে, জয় পরাজয়, হাসি কান্না, জাল থেকে জ্বালা, শাপমুক্তি, গুণ্ডা , মণিহার, লুকোচুরি, হীরা, মমতা, মধুমিতা, হারানো মানিক, কন্যাবদল, কাপুরুষ, জিঞ্জির, বদলা, সাম্পানওয়ালা, কসাই, প্রতিজ্ঞা, চম্পাচামেলী, গাঁয়ের ছেলে, দেনা-পাওনা, মধুমালতী, বড় বাড়ির মেয়ে, সবুজ সাথী, রজনীগন্ধ্যা, ভালোবাসা, লাইলি মজনু, বাসরঘর, মান সম্মান, ধনদৌলত, হাসান তারেক, দ্বীপকন্যা, অগ্নিপরীক্ষা, ভাত দে ইত্যাদি।
তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। ১৯৮৫ সালে তিনি ‘মা ও ছেলে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এরপর আরো আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।
১৯৮৬ সালে আলমগীর প্রথম ‘নিষ্পাপ’ চলচ্চিত্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তার নির্দেশনায় নির্মিত সর্বশেষ চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘নির্মম’। দীর্ঘদিনের চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ারে একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন তিনি।
২০১০ সালে শাহাদাত হোসেন লিটন পরিচালতি ‘জীবন মরনের সাথী’ চলচ্চিত্রে আশরাফ চৌধুরী চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। পরের বছর অভিনয় করেন ‘কে আপন কে পর’, ‘হৃদয় ভাঙ্গা ঢেউ’ ও তার নিজের প্রযোজিত ‘মাটির ঠিকানা’ চলচ্চিত্রে। কে আপন কে পর-এ অভিনয়ের জন্য তিনি টানা দ্বিতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
২০১৩ সালে ৩৫ বছর পর এফ আই মানিক পরিচালিত ‘জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার’ চলচ্চিত্রে পুনরায় রাজ্জাক ও সোহেল রানার একসঙ্গে কাজ করেন। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন শাকিব খান ও পূর্ণিমা। ছবিতে আলমগীরকে একজন পুলিশ কমিশনার চরিত্রে দেখা যায়।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ