এই ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে ওই দিন গোমস্তাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করের রিমার পরিবার।
তবে গত ১৪ জুন বিভিন্ন মিডিয়ায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ শিরোনামে সংবাদ প্রচার হলে থানা পুলিশ তৎপর হয়। মৃত্যুর ৬ দিন পরে বুধবার সকালে গোমস্তাপুর থানার পিস্তল মোড় এলাকা থেকে জননী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক নাজমুল হক ও ওই ক্লিনিকের ডাক্তার নুর মোহাম্মদ নুরুকে গ্রেপ্তার করে।
এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোতাহার আলী জানান, মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদে পুলিশ জানাতে পারে নওগাঁর সাপাহার বাজারে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নুর মোহাম্মদ আছেন। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নুর মোহাম্মদের তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার সকালে গোমস্তাপুর উপজেলার পিস্তল মোড় এলাকার জননী ক্লিনিকের পরিচালককেও গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১৪ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে রিমার প্রসব বেদনা উঠলে তাকে জননী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। রাতে কোনো ডাক্তার না থাকায় ওই ক্লিনিকের পরিচালক নাজমুল হক নিজেই জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করেন। অস্ত্রোপচারের পরপরই রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন