ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা ১০টি রাজ্যে একসঙ্গে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে। সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার অন্তত ১০০।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে ভারতজুড়ে সবচেয়ে বড় তল্লাশি অভিযান শুরু করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

উত্তরপ্রদেশ, কেরালা, আসাম, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, তামিলনাড়ুসহ ১০টিরও বেশি রাজ্যে তল্লাশি অভিযান চলছে। মূলত পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (পিএফআই) নামের একটি গোষ্ঠীর অফিস এবং তার কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সকাল থেকে একশ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে এনআইএ সূত্র জানিয়েছে।

এনআইএ-এর অভিযোগ, পিএফআই সমাজসেবার নামে আসলে জঙ্গি সংগঠনগুলোকে অর্থের জোগান দেয় এবং তাদের প্রশিক্ষণশিবিরের আয়োজন করে। দীর্ঘদিন ধরেই সংগঠনটি গোয়েন্দাদের নজরে ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে পরিকল্পনা করে প্রতিটি জায়গায় তাদের অফিস এবং কর্মীদের বাড়িতে একসঙ্গে তল্লাশি চালানো হয়েছে, যাতে কেউ পালাতে না পারে।

এদিনের তল্লাশি অভিযানে এনআইএ ইডি এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়েছে। এখনো পর্যন্ত কেরালায় ২২ জন, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকে ২০ জন করে, অন্ধ্রপ্রদেশে পাঁচ, আসামে ৯, দিল্লিতে তিন, মধ্যপ্রদেশে চার, পুদুচেরীতে তিন এবং তামিলনাড়ু থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ। সবার বিরুদ্ধেই ইউএপিএ আইনে মামলা করা হয়েছে। অর্থাৎ রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ।

এদিন তল্লাশি অভিযান চলাকালীনই পিএফআইয়ের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, সরকার আরও একবার প্রমাণ করল, তারা ‘ফ্যাসিস্ট’।

কলকাতাতেও তল্লাশিঃ
কলকাতার তিলজলাতে তল্লাশি চালায় এনআইএ। রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে পার্ক সার্কাস ও তিলজলা রোডের কাছে একটি তিনতলা বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। ওই বাড়ির সামনে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আছেন বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তারা।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
বিএ/