ভারতের উত্তর প্রদেশে হাথরাসে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১০৭ হয়েছে। যাদের মধ্যে নারী এবং শিশুও রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তাররা।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলার সিকান্দ্রারাউ এলাকার রতিভানপুর গ্রামে হাথরাস নামে একজন ধর্মীয় প্রচারক তাবু টানিয়ে ‘সৎসঙ্গে’ অনুসারীদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষ হতেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভিড়ের চাপে প্রাণ হারান অসংখ্য মানুষ।
হিন্দু দেবতা শিবের পূজা উপলক্ষে পুণ্যার্থীরা রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে হাথরাস শহরে ওই আয়োজনে সমবেত হয়েছিলেন। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে এ দুর্ঘটনায় প্রাণহানি নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো নানা রকম হিসাব দিচ্ছে। এনডিটিভি জানিয়েছে, অন্তত ৮৭ জন নিহত হয়েছে। আর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের হিসাবে মারা গেছে অর্ধশতাধিক। অন্যদিকে দ্য হিন্দুর হিসাবে প্রায় ৬০ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সৎসঙ্গে উপস্থিত লোকজন প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দম বন্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে সমবেত পুণ্যার্থীরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। এ সময় পদদলিত হয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ইতাহর জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা রাজেশ কুমার জানিয়েছেন, মরদেহগুলো ইতাহ হাসপাতাল পাঠানো হচ্ছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। নিহতদের মধ্যে তিনটি শিশুও রয়েছে। পদদলনের এই ঘটনা ঘটে সিকান্দ্র রাও থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে।
আলিগড়ের আইজি জানিয়েছেন, সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। যারা বেঁচে আছেন তাদের কাছ থেকে গোটা বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে। ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া এক নারী জানিয়েছেন, প্রার্থনা সভাটি আয়োজন করা হয়েছিল স্থানীয় এক ধর্মীয় গুরুর সম্মানে। অনুষ্ঠান শেষে যখন মানুষ বের হয়ে যাচ্ছিলেন, তখন পদদলনের ঘটনা ঘটে।
বিএ…