অনেকটা বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেল ভারতের। গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনার পর হংকংকে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপের সেরা দল হয়ে সুপার ফোরে উঠে ভারত। তবে সুপার ফোরে উঠেই যেন নিজেদের হারিয়ে ফেলে রোহিত-কোহলিরা।
প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। তাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটা হয়ে দাঁড়ায় অনেকয়াট বাঁচা-মরার। বিপরীতে গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের কাছে হারের পরও বাংলাদেশকে হারিয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করা শ্রীলঙ্কা সুপার ফোরে উঠে সেই আফগানদেরই হারিয়ে দেয়।
টানা দুই ম্যাচ জিতে মোমেন্টাম পেয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কা খেই হারায়নি শক্তিশালী ভারতের সামনে। সবশেষ এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সুপার ফোরে বিদায়ের পথ দেখিয়ে এগিয়ে গেল ফাইনালের পথে। বুধবার পাকিস্তান যদি আফগানিস্তানের কাছে হেরে যায় তবে কিছুটা আশা থাকবে ভারতের। সেক্ষেত্রে আফগানিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠতে পারে ভারত।
ভারতের দেয়া ১৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে-তে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। দুজনে পাওয়ার প্লে-তে যোগ করেন ৫৭ রান।
দুজনেই তুলে নেন অর্ধশতক। দলীয় ৯৭ রানের মাথায় ৩৭ বলে ৫২ রান করে নিশাঙ্কা ক্যাচ দেন যুজবেন্দ্র চাহালের বলে। পরের বলে চারিথ আসিলাঙ্কাকে শূন্য রানে ফেরেন চাহাল।
পর পর দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া লঙ্কাকে বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন দানুস্কা গুনাথিলাকা। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ক্যাচ দেন ১ রান করে। গুনাথিলাকার ফেরার পরের ওভারেই মেন্ডিসকে ৫৭ (৩৭) রানে ফেরান চাহাল।
১১০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর বিপদের মুখে ৩৪ বলে ৬৪ রানের অনবদ্য জুটিতে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান ভানুকা রাজাপাকসা ও দাসুন শানাকা। শেষ পর্যন্ত এক বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করেন দুজনে। রাজাপাকসে করেন ২৫ (১৭) ও শানাকা করেন ১৮ বলে ৩৩ রান।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে লঙ্কান বোলারদের তোপে পড়ে ভারত। মাত্র ১৩ রানে লোকেশ রাহুল (৬) ও বিরাট কোহলিকে (০) ফিরতে হয় সাজঘরে।
তবে রোহিত শর্মা ও সূর্যকুমার যাদবের ৯৭ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। জুটি ভাঙার আগে ৪১ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলেন রোহিত। যাদবের ব্যাটে আসে ৩৪ রান। ১৭ রান করে আসে হার্দিক পান্ডীয়া ও পান্তর ব্যাটে। শেষ দিকে অশিনের ১৫ রানের ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় ভারত।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩ উইকেট নেন দিলশান মাধুশাঙ্কা। ২টি করে উইকেট নেন চামিকা করুনারত্নে ও দাসুন শানাকা। ১টি উইকেট নেন মাহেশ থেকশানা।
বিএ/