পুরো ম্যাচে ব্রাজিল ক্যামেরুন শিবিরে একের পর এক আক্রমণ করেছে। কিন্তু শেষে জিতেছে ক্যামেরুন। শেষ মুহূর্তের গোলে তাদের জয় ১-০ গোলে। অথচ দু’দলের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ে পার্থক্য ৪২, ফুটবল বিশ্ব তো অবাক হবেই, যেমন অবাক হয়েছিল সৌদি আরবের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার হারে!
এ ম্যাচে হারলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নকআউট পর্বে উঠেছে তিতের শিষ্যরা। বাদ পড়েছে ক্যামেরুন।
লুসাইল স্টেডিয়ামে শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) শুরুতেই আক্রমণে উঠে ব্রাজিল। অ্যান্টোনির দ্রুতগতির দৌড় শেষে বল পাস দেন রদ্রিগোকে। রদ্রিগোর কাছ থেকে বল নিয়ে ফ্রেড গোল অভিমুখে শট নেন। কিন্তু তার শট বাধা পায় ক্যামেরুনের রক্ষণভাগে। ১৪ মিনিটে প্রথম অন টার্গেটে শট নিতে সক্ষম হয় ব্রাজিল। ফ্রেডের উড়িয়ে মারা বলে মার্টিনেল্লি হেড নিলে তা হাতের ছোঁয়ায় পোস্টের উপর দিয়ে ভাসিয়ে দেন ক্যামেরুন গোলরক্ষক ডেভিস ইপাসি।
ক্যামেরুন জোরেশোরে আক্রমণ শানায় ম্যাচের ২০ মিনিটে। বল নিয়ে মুহূর্তের মধ্যে ব্রাজিলের ডি বক্স অভিমুখে চলে যান ক্যামেরুনের অন্যতম সেরা তারকা চুপো মটিং। কিন্তু তার কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে ব্রাজিলকে বিপদমুক্ত করেন এডার মিলিতাও। চার মিনিট পর গোল পেয়েই যেতে পারত ব্রাজিল। কিন্তু ক্যামেরুণ গোলরক্ষক মার্টিনেল্লির শট ঠেকিয়ে দেয়ায় গোলবঞ্চিত হতে হয় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের।
মুহূর্তের মধ্যে আবারও সুযোগ এসেছিল মার্টিনেল্লির সামনে। কিন্তু তার সামনে থেকে ঈগলের মতো বলে ছোবল মেরে ক্যামেরুনকে বাঁচান রক্ষণভাগের এক খেলোয়াড়। ৩১ মিনিটে বল নিয়ে একা আক্রমণে উঠেছিলেন রদ্রিগো। কিন্তু ডি বক্সের একটু আগে তাকে ফেলে দিয়ে ক্যামেরুনকে আরও একবার বিপদমুক্ত করেন কলিন্স ফাই।
বিরতি থেকে ফিরে ক্যামেরুণ শিবিরে চাপ অব্যাহত রাখে ব্রাজিল। কিন্তু গোলটাই শুধু পাচ্ছিল না তারা। অবশ্য এ সময় ক্যামেরুনও বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করে। ৫১ মিনিটে একটুর জন্য গোল পায়নি তারা। এ সময় আবুবকরের বুলেট গতির শট ব্রাজিলের গোলপোস্টের একটু বাইরে দিয়ে চলে যায়।
ম্যাচের ১০ মিনিট বাকি থাকতে ডান প্রান্ত থেকে একা বল নিয়ে আক্রমণে উঠেছিলেন মার্টিনেল্লি। কিন্তু বক্সের একটু আগে তাকে ফেলে দেন আবুবকর। ফলে সে যাত্রায়ও গোল হজম থেকে বেঁচে যায় ক্যামেরুন। যোগ করা সময়ে ব্রাজিলকে গোল দিয়ে বসেন আবুবকর। হেডে এডারসনকে পরাস্ত করেন তিনি। উদযাপন করতে গিয়ে জার্সি খুলে ফেলায় রেফারি তাকে লাল কার্ড দেন।
বিএ/