খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল ও জামিনের বিষয়ে জরুরি সভায় বসেছেন তার প্যানেল আইনজীবীরা। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সমিতির ভবনের দক্ষিণ হলে তারা এ বৈঠকে বসেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নেতৃত্বে সভায় আরও উপস্থিত রয়েছন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবীর সমিতির সভাপতি অ্যাড, জয়নুল আবেদীন, সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহাবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাড. খন্দকার মাহাবুব হোসেনসহ প্রমুখ আইনজীবীরা।
খালেদা জিয়ার এই মামলার সংশ্লিষ্ট আইনজীবী অ্যাড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আপিল ও জামিন করা হবে কিনা আমরা সে বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত নেবো। দুপুরের মধ্যে আশা করছি, আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে পৌঁছাবো।’
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯ ও ১০৯ ধারার অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় রায় ঘোষণা করেন আদালত। ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।
ওই রায়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অপর আসামি তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচ জনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানাও করা হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলসহ তিনটি পৃথক আবেদন করার বিষয়ে ভাবছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এ নিয়ে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এর আগে বলেছেন, ‘প্রথমে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করবো। দ্বিতীয়ত, আপিল গ্রহণের পর জামিন আবেদন করবো। তৃতীয়ত, নিম্ন আদালতের সাজা স্থগিত চেয়ে আবেদন করবো।’
উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত হলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণে বাধা আইনত বাধা থাকবে না বলেও জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার এই আইনজীবী।
তবে রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘একজন আইনজীবী হিসেবে আমি বলতে পারি বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ২ বছর সাজাপ্রাপ্ত কোনও অপরাধী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। তবে উচ্চ আদালত যদি উনার (খালোদা জিয়া) জামিন আবেদন গ্রহণ করেন তাহলে তার সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা থাকবে না।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ