1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
বিশ্বের কোনো প্রতিরক্ষা দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে প্রতিরোধ সম্ভব না: মার্কিন বিশেষজ্ঞ - খবর ২৪ ঘণ্টা
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৪ পূর্বাহ্ন

বিশ্বের কোনো প্রতিরক্ষা দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে প্রতিরোধ সম্ভব না: মার্কিন বিশেষজ্ঞ

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২০

খবর ২৪ ঘন্টা ডেস্ক : ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের প্রতিরক্ষা শিক্ষা বিভাগের পরিচালক হ্যারি কাজিয়ানস বলেছেন, ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে মূলত একটি বার্তা দিতে চেয়েছে ইরান। সেটা হচ্ছে, তাদের সক্ষমতা রয়েছে। সঙ্গে কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি।

প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে বুধবার মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান।

কাজিয়ানস বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, ইরানের কাছে দুই হাজার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। কাজেই তাদের প্রতিশোধ হালকাভাবে নেয়া উচিত হবে না।

‌‘কার্যত, ইরানিদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র যদি চেষ্টাও করে, আমরা পারবো না।’

বুধবার সিএনবিসিকে তিনি বলেন, এমনকি যদি বিশ্বের তাবত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও মধ্যপ্রাচ্যে নিয়ে যাওয়া হয়, তবুও আমরা ইরানকে নিবৃত্ত করতে পারবো না।

এই বিশ্লেষক বলেন, যদি তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পুরোপুরি মুখোমুখি যুদ্ধ লেগে যায়, তবে তা হবে ব্যাপক রক্তক্ষয়ী। তেহরান সম্ভাব্য ব্যাপক ক্ষতি করতে পারবে। কেবল মার্কিন ঘাঁটিরই না, যুদ্ধজাহাজ ও মধ্যপ্রাচ্যের সব সামরিক ঘাঁটিতে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা নিয়ে জানতে চাইলে এই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, আমি এখন মনে করছি, এটাই হচ্ছে যুদ্ধের প্রস্তাবনা। সত্যিকার প্রশ্ন হচ্ছে, এসবের জবাবে ট্রাম্প প্রশাসন কী করবে?

সেক্ষেত্রে মার্কিন প্রশাসনের সামনে দুটি পথ খোলা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথমত ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক মূল লঞ্চারে হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এটাই হবে নিশ্চিতভাবে সমানুপাতিক হামলা। দ্বিতীয়ত, ইরানের বিরুদ্ধে ব্যাপক কৌশলগত সামরিক হামলার জন্য এসবকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ট্রাম্প।

‌‌‘যাতে ইরানের সব পারমাণবিক স্থাপনা, ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা, ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ স্থাপনা ও বড় ঘাঁটিগুলোকে ধ্বংস করে দেয়া যাবে।’

হ্যারি কাজিয়ানস বলেন, মধ্যপাচ্যে দ্বিতীয় বিকল্পটি বেছে নেয়ার মতো অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের এখন নেই। কারণ এই আয়োজন সারতে যুক্তরাষ্ট্রকে কয়েক সপ্তাহের প্রস্তুতি নিতে হবে। অঞ্চলটিতে নিজেদের বাহিনীকে প্রস্তুত করতে হবে।

তিনি বলেন, কিন্তু তখন ইরান নিবৃত্তিমূলক হামলা চালাতে সক্ষম হবে।

‘সবচেয়ে বড় দুঃশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে, এখন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা লাঘব কিংবা কূটনৈতিক পরিবেশ তৈরি হয়নি।’

ওমানে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড শিমিয়ার বলেন, ইরানের সাম্প্রতিক হামলা সম্ভবত একটি বড় সুযোগ। এতে কোনো হতাহত ঘটেনি। দুই পক্ষই এখন বলছে, আমরা সবাই কিছু করেছি। এখন আমরা নিবৃত্ত হতে পারি।

ছায়া বাহিনী ব্যবহার না করে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইরান। কাজিয়ানসসের ভাষায়, দেশটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখাতে চেয়েছেন, সামরিকভাবে তারা হালকা না। তাদের তুচ্ছ করে দেখা উচিত হবে না।

বহু বছর ধরেই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে মনোযোগ দিয়েছেন ইরানিরা। তিনি বলেন, আমার যুক্তি হচ্ছে, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে ইরান পরাশক্তি।

তার মতে, ইরান এমন এক গুচ্ছ সক্ষমতা তৈরি করেছে, যাতে জবাব দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের মতো সামরিক পরাশক্তির জন্য কঠিনই। আমি মনে করি, তারা সেটাই করতে চেয়েছে। তারা প্রকাশ্যেই সেটি দেখাতে চেয়েছে।

এস/আর

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST