স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এরই মধ্যে তারা খেলে ফেলেছে একটি ম্যাচ। সোমবার ভারতীয় নারী দলের বিপক্ষে সেই ম্যাচে হেরেছিল বাংলাদেশ দল। প্রতিপক্ষকে ১৪২ রানে থামিয়েও ১২৪ রানের বেশি করতে পারেনি সালমা খাতুনের দল।
সে ম্যাচে দলকে জয়ের আশা দেখিয়ে ২৬ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বাঁহাতি ওপেনার মুর্শিদা খাতুন হ্যাপি। এছাড়া উইকেটরক্ষক নিগার সুলতানা জ্যোতি করেছিলেন ২৫ বলে ৩৫ রান। তাদের এ দুই ইনিংস অবশ্য জয়ের জন্য যথেষ্ঠ প্রমাণিত হয়নি। আজ (বৃহস্পতিবার) অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
ভারতের বিপক্ষে জয় না পেলেও বিশ্বকাপে খেলতে গিয়ে দুইটি স্বপ্ন পূরণ হয়েছে টাইগ্রেস ওপেনার মুর্শিদার। প্রথমত, ক্যারিয়ারের দুই বছরের মাথায় খেলতে পারছেন ক্রিকেট বিশ্বকাপ। দ্বিতীয়ত, এরই মধ্যে দেখা হয়েছে তার ব্যাটিং আইডল স্মৃতি মান্ধানার সঙ্গে।
মুর্শিদার আশা ছিলো, ভারতের বিপক্ষে সোমবারের ম্যাচেই হয়তো দেখা হয়ে যাবে মান্ধানার সঙ্গে। কিন্তু শেষমুহূর্তে ভাইরাস জ্বরের কারণে সে ম্যাচটি খেলতে পারেননি মান্ধানা। যে কারণে অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ হয় মুর্শিদার। তবে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি তাকে।
ভারতের বিপক্ষে ৩০ রান করার পথে মুর্শিদা
পরদিন সকালেই পার্থ বিমানবন্দরে দেখা হয়ে গেছে আইডল স্মৃতি মান্ধানার সঙ্গে। যাকে দেখে রীতিমতো পাথরের মতো জমে গিয়েছিলেন মুর্শিদা, কথা বলতে পারছিলেন না ঠিক করে। প্রথমবারের মতো মান্ধানার সঙ্গে দেখা হওয়ার গল্পটা নিজ মুখেই শুনিয়েছেন মুর্শিদা।
জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় ভাবতাম, তার (স্মৃতি মান্ধানা) সঙ্গে দেখা হলে আমি শুধু একটা সেলফি তুলবো। ওটাই হবে আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্য। যখন তার সঙ্গে দেখা হলো, আমি খুব নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম, কথাই বলতে পারছিলাম না। তাকে বলতেও পারিনি যে উনিই আমার হিরো। জানেনই তো, প্রথমবারের মতো নিজের আইডলকে দেখলে কী অবস্থা হয়!’
মান্ধানার সঙ্গে দারুণ এক মিল রয়েছে বাংলাদেশের মুর্শিদার। দুজনই ক্যারিয়ারের শুরুতে ছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। পরে মান্ধানার মতোই নিজের বড় ভাইকে দেখে বাঁহাতি ব্যাটিং শুরু করেছেন ২০ বছর বয়সী এ নারী ক্রিকেটার। প্রাথমিকভাবে তামিম ইকবালকে দেখে বড় হলেও, পরে মান্ধানাকেই নিজের ব্যাটিং আইডল মানতে শুরু করেছেন মুর্শিদা।
মুর্শিদা বলেন, ‘বাংলাদেশ (পুরুষ) দলের খেলা ছাড়া অন্য কিছু দেখার সুযোগ ছিলো না। আমি বড় হয়েছি তামিম (ইকবাল) ভাইয়ের ব্যাটিং দেখে। তবে বিশ্বকাপে স্মৃতি মান্ধানার (২০১৭ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে) সেঞ্চুরি দেখার পর আমি তার ব্যাটিংয়ের ভক্ত হয়ে যাই। প্রতিকূল কন্ডিশনে তার টেকনিক, আত্মবিশ্বাস, শেষপর্যন্ত খেলে যাওয়ার দৃঢ়তা আমাকে মুগ্ধ করেছিল।’
২০১৮ সালে বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে মুর্শিদার। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলে এখনও পর্যন্ত তিনিই একমাত্র বাঁহাতি ব্যাটার। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৫৫ এবং ৭ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নামের পাশে ১৩২ রান যোগ করেছেন কুষ্টিয়ার এ কৃতি সন্তান।
খবর২৪ঘন্টা/নই