খবর২৪ঘণ্টা.কম,ডেস্ক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এলো না। কেন গোয়েন্দা সংস্থা ব্যর্থ হলো? এ জিনিসগুলো আমাদের জানার অধিকার আছে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) এক আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।
রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে ২০০৯ সালে সংগঠিত হয় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। গতকাল সোমবার ওই হত্যাকাণ্ডের মামলার রায় দেন হাইকোর্ট। ওই রায়ে তৎকালীন বিডিআরের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) তৌহিদসহ ১৩৯ জনের মৃত্যদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এত বড় একটা বিদ্রোহ, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৫৭ জন চৌকস, দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। কখন ঘটেছে, যখন সবে একটি নতুন সরকার গঠন করা হয়েছে। তার পরপরই এটা ঘটেছে। এর উদ্দেশ্য কী ছিল? শুধুই কি সরকারকে ব্যর্থ করে দেওয়া, নাকি বাংলাদেশকে ব্যর্থ করে দেওয়ার চেষ্টা? ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা আমাদের মুক্তিযুদ্ধেও খোয়াতে হয়নি। এ ৫৭ জনকে হত্যা করে কে, কারা সবচেয়ে বেশি লাভবান হলো? যারা বাংলাদেশের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে চাইল, যারা সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দিতে চাইল। এ বিষয়গুলো আমাদের অবশ্যই সুষ্ঠু, নির্মোহ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বের করতে হবে।
ওই ইস্যুতেই কথা বলেন মির্জা ফখরুল বলেন, কেন গোয়েন্দা সংস্থা ব্যর্থ হলো জিনিসটাকে জানাতে? কেন সেদিন অতি দ্রুততার সাথে বিদ্রোহ দমনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হলো না? কেন সেই সিদ্ধান্ত নিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অতিবাহিত করতে হলো। আমি কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। কিন্তু এটার তো কোনো সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত হয়নি। কেন এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর যে তদন্ত রিপোর্ট সেটা প্রকাশিত হলো না।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের জন্য এ সমস্ত দাম্ভিকতা বাদ দিয়ে আসুন, দেশনেত্রী যে আহ্বান করেছেন, পরবর্তী নির্বাচন যেন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে, সকলে যেন সেখানে অংশ নিতে পারে, জনগণের একটি সরকারকে আমরা প্রতিষ্ঠা করি।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ