1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরের মরদেহ হস্তান্তর - খবর ২৪ ঘণ্টা
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০১ অপরাহ্ন

বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরের মরদেহ হস্তান্তর

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৮ মারচ, ২০২৪

ত্রিপুরা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ১৯৯ নং ব্যাটালিয়নের জওয়ানদের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি সাদ্দাম হোসেন ওরফে পারভেজের (১৫) মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) বিকেলে কৈলাশহর চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশের পুলিশের হাতে মরদেহটি তুলে দেয় বিএসএফ।

পারভেজ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মুরাইছড়া বস্তির আছকির মিয়ার ছেলে। সে গত ১৭ মার্চ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারায়।

ওই ঘটনায় একই গ্রামের মৃত সাদাই মিয়ার ছেলে ছিদ্দিকুর রহমানও (৩৪) আহত হন। মৌলভীবাজারের সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, সেদিন বিকেলে পারভেজ ও ছিদ্দিকুর রহমান সীমান্তের শিকরিয়া এলাকায় গরু চড়াতে যান।

এক পর্যায়ে তারা শূন্যরেখার কাছাকাছি চলে যান। তখন ত্রিপুরা রাজ্যের উনকোটি জেলার মাগুরুলি বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় কিশোর সাদ্দাম। আর স্থানীয়রা ছিদ্দিকুরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

অবশ্য বিএসএফের অভিযোগ, সেদিন বাংলাদেশি এক যুবক কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তখন বাধা দেওয়া হলে তিনি এক জওয়ানকে মারধর করেন এবং দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। পরে কিছু বাংলাদেশি কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে ভারতে ঢোকেন এবং ওই বিএসএফ জওয়ানকে টেনে-হিঁচড়ে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। অন্য বিএসএফ জওয়ানরা ঘটনাটি দেখে ছুটে আসেন এবং ওই জওয়ানকে রক্ষায় গুলি ছুড়তে থাকেন। এতে কিশোর পারভেজের পায়ে গুলি লাগে এবং তার শরীর থেকে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হতে থাকে, যার ফলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তখন অন্য বাংলাদেশিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে বাংলাদেশ চলে আসেন।

বিএসএফের বক্তব্য, পরে পারভেজের মরদেহ কৈলাশহর ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্ত করার পর বিকেলে কৈলাশহর চেকপোস্ট এলাকায় বাংলাদেশের বিজিবি ও পুলিশের হাতে পারভেজের মরদেহ তুলে দেয় বিএসএফ ও স্থানীয় পুলিশ। এসময় কৈলাশহর মহকুমা পুলিশ কর্মকর্তা জয়ন্ত কর্মকার ও কৈলাশহর ইরানি থানার ওসি যতীন্দ্র দাস উপস্থিত ছিলেন।

জয়ন্ত কর্মকার সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, পারভেজের মরদেহ শনাক্ত করতে তার বাবা আছকির মিয়া কৈলাশহর চেকপোস্টে আসেন এবং তিনি শনাক্ত করেন যে পারভেজ তারই ছেলে। অপরদিকে আহত বিএসএফ জওয়ান কৈলাশহরের ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন।

বিএ..

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST