1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
বিএনপির জীবন থাকতে নদীর ধার এলাকা উচ্ছেদ করতে দেওয়া হবেনা: মিনু - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন

বিএনপির জীবন থাকতে নদীর ধার এলাকা উচ্ছেদ করতে দেওয়া হবেনা: মিনু

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৩ জুলাই, ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে বিএনপি’র জোয়ার বইছে। এই গণজোয়ার দেখে সরকার দলীয় প্রার্থীর ঘুম হারাম হয়ে গেছে। রাতে ঘুম না হওয়ায় এখন আবোল তাবোল বকা শুরু করেছে। দীর্ঘদিনের বসতী নদীর ধার এলাকা উচ্ছেদ করে সরকার দলীয়

মেয়র প্রার্থী পার্ক তৈরী করবেন। একেই বলে জনদরদী। বসত ভিটা থেকে মানুষকে উচ্ছেদ করে সরকার দলীয় প্রার্থীর পার্ক তৈরী করার স্বপ্ন কোনদিন পুরন হতে দেওয়া হবেনা। জীবন দিয়ে হলেও নদীর ধার এলাকার বসতী রক্ষা করা হবে বলে জানান বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু। তিনি গতকাল সোমবার সকালে নগরীর ২৪নং ওয়ার্ডে ধানের শীষের গণসংযোগের সময় এই কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সর্বদা ধ্বংস ও হত্যার রাজনীতি করে। তারা কোন সময় গড়তে জানেনা।

যুদ্ধের সময়েও আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। দেশকে একটি অস্থিতিশীল অবস্থায় রেখে তিনি পালিয়ে জানে বাঁচেন। সে সময়ে আজকের এই অবৈধ প্রধানমন্ত্রীও দেশে ছিলেন না। ছিলেন ভারতের বিলাস বহুল বাড়িতে। এই প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতারা দেশের মানুষের ভালমন্দ কিভাবে বুঝবেন। কিন্তু যুদ্ধের সময়ে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান না থাকলে এবং সাহসি ভূমিকা না রাখলে বাংলাদেশ নামে কোন দেশ হতনা বলে উল্লেখ করে তিনি।

অথচ আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন করেছিলেন বলে মিথ্যাচার করে বেড়ায়। আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন বীর উত্তম ও বীর প্রতিক নেই। আজকে যারা দেশ নিয়ে বড় বড় কথা বলে এবং বিএনপি’র দুর্নাম করে বেড়ায় তারাও যুদ্ধের সময় দেশ থেকে পালিয়ে ভারত সহ অন্যান্য রাষ্ট্রে যেয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। দেশ স্বাধীন করেছে বিএনপি ও সাধারণ জনগণ। দেশের উন্নয়নের জোয়ার বয়ে দিয়েছে বিএনপি। রাজশাহীর উন্নয়নের জোয়ার বয়ে দিয়েছে বিএনপি। রাজশাহীর বিমানবন্দর থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রেলওয়ে, নাদীর ধার বাঁধানো, মেডিকেল হাসপাতালের শয্যাবৃদ্ধিকরণ, টিভি স্টুডিও, আধুনিক নগর ভবন স্থাপন, জিয়া শিশু পার্ক ও চিড়িয়াখানা স্থাপন বিএনপি’র আমলের হয়েছে।

সদ্য বিদায়ী সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল স্বল্প সময়েও অনেকগুলো বড় রাস্তা, আধুনিক ফুটপাত, নদীর ধার এলাকার মধ্যে কার্পেটিং রাস্তা ও ব্রীজ নির্মান, শহরের বিভিন্ন স্থানে পুকুর সংস্কার করে আধুনিকায়নকরণ এবং ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার সংস্কার করে নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছেন। এখন রাজশাহীকে মেগা সিটি করা এবং বদলনোর কিছুই নাই। মেগা সিটি করে রাজশাহীকে বদলানো হয়েছে বিএনপি’র মেয়ররের সময়ে বলে মিনু উল্লেখ করেন। আগামীতে রাজশাহীকে আরো আধুনিকিকরণ এবং জনগণের সেবা নিশ্চিৎ করতে বিএনপি’র কোন বিকল্প নেই উল্লেখ আসছে ৩০ জুলাই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট প্রার্থীকে বিজয়ী করার অনুরোধ করেন তিনি।

বুলবুল বলেন, বিএনপি হচ্ছে বাংলাদেশ এবং রাজশাহী নগরীর একমাত্র উন্নয়নের রুপকার। এই উন্নয়নকে বাধা গ্রস্থ করতে এবং নগরীর মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যপুর্ন বসবাস আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এবং তাদের অন্যান্য নেতাকর্মীরা হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থী ধ্বংসের রাজনীতিতে মেতে উঠেছে। তারা নির্বাচনের নিশ্চিৎ পরাজয় এবং বিএনপি ও ২০দলীয় জোটের গণজোয়ার দেখে ভীত হয়ে বিএনপি নেতা কর্মীদের গণগ্রেফতার করছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর অবৈধ উপদেষ্টা এইচ.টি ইমাম নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন করে রাজশাহীতে বসে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

কিন্তু রাজশাহীবাসী জানেন রাজশাহীর উন্নয়ন করার জন্য বিএনপি’র কোন বিকল্প নাই। তাই গণ-গ্রেফতার ও জোর করে কোন লাভ নাই। ভোটের দিন প্রতিটি কেন্দ্র বিএনপি’র নেতাকর্মী ও সমর্থকরা পাহাড়া দিয়ে রাখবে। কোথাও কোন প্রকার অসংগতি ও জোর করে সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট নিতে গেলে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে বলে তিনি হুঁমিয়ারী দেন। তিনি সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাতকারে বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন করে কোটি কোটি টাকার পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন সারা শহরের টাঙ্গিয়ে রেখেছে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বড় মাপের এই গুলো অপসারন করতে বললেও আজো তিনি অপসারন করেন নি। সিটি কর্পোরেশনের বিজ্ঞাপনী স্থানগুলোতেও লিটনের ফেস্টুন টানানো রয়েছে। এতে করে সিটি কর্পোরেশন রাজশ্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিন্তু এগুলো দেখার কেউ নাই। পুলিশ বিভাগ, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন শুধু বিএনপি’র নেতাকর্মীদেরে দেখতে পায়। বুলবুল আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনকে অনেক অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হয়নি।

আজ্ঞাবহ এই নির্বাচন কমিশন সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এখনো দলীয় নেতাকর্মীদের এবং নারী কর্র্মীদের ভয়ভীতি এবং হত্যার হুমকী দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। কোন গুজবে এবং সরকার দলীয় প্রার্থীর হুমকীতে ভয় না পেয়ে নির্ভয়ে মাঠে থেকে নির্বাচনী প্রচারণা করার জন্য নেতাকর্মীদের পরামর্শ দেন তিনি। সেইসাথে সকল ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করেন বুলবুল।

গণ সংযোগের সময় ভোটার ও সাধারণ জনগণের মধ্যে বিপুল উৎসাহ দেখা যায়। তারা অত্র এলাকা ধানের শীষের ¯েøাগান দিয়ে মাতিয়ে রাখে। বিএনপি’র সিনিয়র নেতাদের দেখে তারা উচ্ছোসিত হয় এবং সাহস পায়। তারা স্বত:স্ফুর্তভাবে ধানের শীষে ভোট প্রদান করবেন বলে জানান। যতই হুমকী ও নির্যাতন তাদের উপর হোক তারা ধানের শীষের পক্ষে অবিচল থাকবেন এবং ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট প্রদান করবেন বলে প্রতিশ্রæতি দেন তারা।

গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু, উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, তানোর পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান, ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আবু তালহা মিলন, সাধারণ সম্পাদক জাকের আলী শান্তি, সংগঠনিক সম্পাদক বরজাহান আলী, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, ২৪নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা গৌতম, আলাউদ্দিন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি,

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবার আলী জ্যাকি ও নাহিন আহম্মেদ সহ অত্র ওয়ার্ডের বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারাণ সম্পাদক, শুধিজন, সমাজসেবক, বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং সহশ্রাধীক সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। নেতাকর্মীরা অত্র ওয়ার্ডের নদীর ধার, টি-বাঁধ, কেদুর মোড়, সাধুর মোড়, রামচন্দ্রপুর ও হাদিরমোড় সহ অত্র সকল স্থানেই গণসংযোগ করেন।

খবর২৪ঘণ্টা/এমকে

পোস্টটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By Khobor24ghonta Team