1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
বানরের দেহে সফল হয়নি অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন - খবর ২৪ ঘণ্টা
শুকরবার, ১৭ জানয়ারী ২০২৫, ০২:১৩ পূর্বাহ্ন

বানরের দেহে সফল হয়নি অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২০ মে, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সারাবিশ্বে এখন এক আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৯ লাখ ৮ হাজার ২০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৩০ জন।

করোনা থেকে বাঁচাতে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে কাজ করছেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে আটটি ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে।

খবর২৪ঘন্টা/নই

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক তিন মাসের প্রচেষ্টায় চ্যাডক্স১ এনকোভ-১৯ নামে একটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। নভেল করোনাভাইরাসের দুর্বল প্রজাতির একটি অংশ ও জিন ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে এই ভ্যাকসিন।

দীর্ঘদিন ধরেই এই ভ্যাকসিনটি নিয়ে আশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি বানরের দেহে এই ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা সফল হয়নি।

বেশকিছু বানরের দেহে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর দেখা গেছে যে, এগুলোর দেহে এই ভ্যাকসিন ভাইরাস প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে প্রাণী দেহে নিউমোনিয়ার মতো ঠান্ডাজনিত রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম এই ভ্যাকসিন।

চ্যাডক্স১ এনকোভ-১৯ নামের ভ্যাকসিনটির একটি দুর্বল সংস্করণ শিম্পাঞ্জির সাধারণ ঠান্ডাজনিত ভাইরাসের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। মানুষের শরীরেও এটি কাজ করে কিনা তা নিয়ে এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

মে মাসের শেষ দিকে এই ভ্যাকসিনের ৪০ থেকে ৫০ লাখ ডোজ উৎপাদনের ঘোষণা দিয়েছিল পুনেভিত্তিক ভারতের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটও। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপে যে ভ্যাকসিনটি নিয়ে কাজ চলছে তাতে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট একটি।

বানরের ওপর ভ্যাকসিন প্রয়োগের গবেষণার পূর্ণাঙ্গ ফল বায়োআরএক্সআইভি সার্ভারে পাওয়া যাচ্ছে। তবে এ গবেষণা প্রতিবেদন আরও পর্যালোচনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ের এই ফলাফলে বলা হয়েছে, এই ভ্যাকসিন হয়তো মানুষের দেহে করোনার সংক্রমণ হওয়া অথবা অন্যদের মধ্যে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে কার্যকরী মহৌষধ হয়ে উঠতে পারবে না।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইমিউনোলজি ফ্যাকাল্টি এবং সিএসআইআর-ইনস্টিটিউট অব জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটিভ বায়োলজির সাবেক প্রধান রাজেশ গোখলে এই গবেষণা প্রতিবেদনটি দেখেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, বানরের ওপর পরীক্ষায় যে ফল এসেছে বাস্তবিক বিশ্বে কোনো প্রতিষ্ঠানই এই ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে প্রয়োগ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া অব্যাহত রাখবে না।

এর আগে গবেষকরা জানিয়েছিলেন যে, অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকিসনটি বর্তমানে ফেইজ-১ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রয়েছে। কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা যাচাই করার জন্য সুস্থ স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে এটি প্রয়োগ করা হয়েছে। জুনের মাঝামাঝি ক্লিনিক্যাল এই ট্রায়ালের ফল আসতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST