বাঘা প্রতিনিধিঃ যৌতুকের টাকা নিয়ে বাক বিতন্ডায় চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। পরে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করলে মাথা কেটে যায়। জ্ঞান হারিয়ে ফেললে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যৌতুক ও শারিরিক নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী লাভলু হোসেন ও তার পিতা রফিকুল ইসলাম এবং মাতা লাভলি বেগমের বিরুদ্ধে থানায় লিতি অভিযোগ করেছেন গৃহবধু সুমি খাতুনের পিতা রয়েজ উদ্দীন।
গত সোমবার (১৯-০৩-১৮) উপজেলার খায়েরহাট গ্রামে গৃহবধুর স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধু সুমির পিতার বাড়ী একই উপজেলার ব্রাম্মনডাঙ্গা গ্রামে। ঘটনার দিন রাতেই অভিযোগ দায়ের করলেও মামলা রেকর্ড করেনি পুলিশ।
বুধবার (২১-০৩-১৮) হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও মনোস্তাত্বিক সমস্যায় ভুগছে গৃহবধু। মেয়ের এ অবস্থা দেখে বিষন্ন মনে পাশে বসে মা নার্গিস বেগম। তিনি জানান,৩ বছর আগে লাভলু হোসেনের সাথে তার মেয়ে সুমি খাতুনের বিয়ে দেন। ৬মাস আগে একটি পুত্র সন্তানও হয়েছে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবি করতো জামাই লাভলু হোসেন । সর্বশেষ গত সোমবার যৌতুকের দাবিতে মারধর ও ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এসময় জামাই লাভলুর পিতা-মাতা বাঁধা না দিয়ে,মারধর করতে হুকুম দেয় ।
অভিযোগ অস্বীকার করে লাভলুর পিতা রফিকুল ইসলাম বলেন,অপরিনত বয়সে বিয়ের পর স্বল্প আয়ের সংসারে একটি সন্তান হয়। দারিদ্র্র্র্র্রতার কারণে তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হতো। দু’জনের তর্কা-তর্কির কারণে ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা স্বামী-স্ত্রী মিলে ছেলেকে শাসন করেছি। আত্ন গোপনে থাকায় লাভলুর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সহকারি উপ পরিদর্শক জহুরুল ইসলাম বলেন, তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেলেও স্থানীয়ভাবে সমাঝোতার কথা বলায় মামলা রেকর্ড করা হয়নি।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ