1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
বাঘায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নার্স ছাড়াই চলছে ক্লিনিক : লাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন রোগী - খবর ২৪ ঘণ্টা
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৭:০৮ অপরাহ্ন

বাঘায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নার্স ছাড়াই চলছে ক্লিনিক : লাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন রোগী

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৮

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নার্স ছাড়াই চলছে ক্লিনিক। ফলে একের পর ঘটছে মৃত্যুর ঘটনা। সেবা নিয়ে সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন রোগীরা। এমনি অভিযোগ উঠেছে বাঘায় ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে। উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজে উঠেছে ক্লিনিক। এই অধিকাংশ ক্লিনিকে অজ্ঞান কারক (অ্যানেসথেনিয়া), অস্ত্রোপচারের যন্ত্রপাতি, পরিস্কার, পরিচ্ছন্ন অটোক্লেভ মেশিন, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নার্স, লাইসেন্স নেই। ফলে এসব ক্লিনিকে বিশেষজ্ঞ সার্জন ছাড়াই চলছে অপারেশন।

জানা যায়, ডায়গনোষ্টিক সেন্টার ও প্যাথলজিক্যালসহ ক্লিনিক রয়েছে ১৩টি। সিভিল সার্জন ও স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্রের তালিকায় রয়েছে ১২টি। এরমধ্যে ২/১টি কিèনিক ছাড়া প্রায় কিèনিকে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ক্লিনিকে রোগীর নিশ্বিত মৃত্যু জেনেও দায় এড়ানোর জন্য পাঠানো হয়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তবে প্রতিটি মৃত্যুর পর কিèনিক মালিকরা মোটা অষ্কের টাকার বিনিময়ে স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে সমাধান করেন।
২০ অক্টোবর ভুল চিকিৎসায় জননী কিèনিক এ্যান্ড ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। জননী কিèনিকে সিজার অপরেশনের পর নবজাতককে রেখে মৃত্যু হয় প্রসুতি আজমিরা বেগম নামের এক প্রসূতির। মৃত আনজিরা বেগম উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের বেংগাড়ি গ্রামের সাইদুল ইসলামের স্ত্রী।

২০১৭ সালের ১ নভেম্বর সেবা কিèনিকে সিজার অপরেশনের জন্য ভর্তি হন লালপুর উপজেলার দুড়দুড়ি গ্রামের আলো খাতুন নামের এক প্রসূতি। এ কিèনিকে বিশেষজ্ঞ সার্জন ও আজ্ঞানকারী ছাড়াই রোগীর অপারেশন করা হয়। অপারেশনের কয়েক ঘন্টা পর নবজাতককে রেখে মারা যান এ প্রসূতি। তবে ঘটনার পর কিèনিক মালিক দাবি করেন বিশেষজ্ঞ সার্জন আব্দুল্লাহ আল মামুন অপারেশন করেন।

২০১৬ সালের ১২ আগষ্ট জরায়ুর অস্ত্রোপচারের জন্য জসিম উদ্দীন হাসপাতালে ভর্তি হন উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের সনেকা বেগম। স্বামী সন্তান না থাকায় তার ভাই কাচু মিঞা তাকে ভর্তি করেন। রাতে অপরেশনের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে পরের দিন তিনি মারা যান।

২০১৫ সালের ১৪ আগষ্ট ফাতেমা কিèনিকে হার্নিয়া অপরেশন করার জন্য ভর্তি হন বাজুবাঘা ইউনিয়নের আহমোদপুর গ্রামের আজগর আলী। অপরেশনের তিনদিন পর তিনিও মারা যান। তবে তার বহিরাগত এক চিকিৎসকদিয়ে অপরেশন করানো হয়েছিল বলে জানা গেছে।

২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বাঘা ডায়গনষ্টিক কিèনিকে মারা যান পানিকুমড়া গ্রামের দুলাল হোসেনের স্ত্রী চাম্পা বেগম। সিজার অপরেশনের পর চম্পা বেগম মারা যান।

এ বিষয়ে বাঘা পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম বলেন, কালিদাসখালী চরের শামিম আহম্মেদের স্ত্রী পাখি খাতুন আমার প্রতিবেশি। ৩ নভেম্বর বাঘায় ফাতেমা ক্লিনিকে পাখি খাতুন প্রসূতির পরীক্ষা নিরিক্ষা করাতে যান। সেখানে পরীক্ষা করে রির্পোট দেন, এক মাস পর বাচ্চা প্রসব হবে। কিন্তু এই প্রসূতি ওই দিনই বাড়িতে এসে বাচ্চা প্রসব হয়। এই হলো বাঘার ক্লিনিকের অবস্থা।

জননী কিèনিক এ্যান্ড ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের পরিচালক ডাক্তার আসাদুজ্জামান বলেন, কাজ করতে গিয়ে ভূল হতে পারে। তবে কোন ডাক্তার চান না একটি রোগী মারা যাক।

বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবাবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, রোগীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা না করার জন্য এমন ঘটনা ঘটে। তবে কোন ব্যাক্তি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেনা। অভিযোগ করলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা যায়। অভিযোগ না থাকার কারনে আমরা কিছু করতে পারিনা

খবর ২৪ঘণ্টানই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By Khobor24ghonta Team