বাঘা প্রতিনিধি :
রাজশাহীর বাঘায় কলেজ চত্বর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে শামসুল ইসলাম নামের এক ছাত্রকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছে বহিরাগতরা। তাকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ছাত্র বাঘা উপজেলা সদরে শাহদৌলা সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও দেবত্ত বিনোদপুর গ্রামের ইজদার রহমানের ছেলে । সোমবার এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে শামসুল ইসলাম বাদি হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে বাঘা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। আহত ছাত্র জানান, সোমবার বেলা ১১ টায় ক্লাশ শেষে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের অফিস কক্ষে দাড়িয়ে ছিলেন। এ সময় বাঘা
পৌর সভার মশিদপুর গ্রামের মোশারফের ছেলে সবুজ, দক্ষিন মিলিক বাঘা গ্রামের জালামের ছেলে জাহিদ, জদুর ছেলে এলিটসহ অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জনের সংঘবদ্ধ দল তাকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বাঘা ঈদগাহ এলকার একটি চটপটি দোকানের পেছনে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলাপাথাড়ি মারপিট করে। মাটিতে পড়ে গেলে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টায় এলিট গলা চেপে ধরে। জাহিদ প্যান্টের পকেটে থাকা একটি মোবাইল ফোন বরে করে নেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। গত কয়েকদিন আগে সবুজকে মারপিটের পূর্ব জের ধরে শামসুলকে মারপিট করা হয়েছে বলে জানা
গেছে। তবে জাহিদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) স্যার ঢাকায় আছেন। বিষয়টি তাকেসহ পুলিশ প্রশাসনকে তাৎক্ষনিক জানিয়েছেন। কক্ষ থেকে শিক্ষকরা বের হওয়ার আগেই তাকে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন,খবর পেয়ে হাসপাতালে ওই ছাত্রকে দেখতে গিয়েছিলেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আাইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
আর/এস