বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় ৪১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগে অনিয়মের দায় এড়াতে পারেন না স্থানীয় সাংসদ ইঞ্জি: এনামুল হক। কারণ ওই নিয়োগ বোর্ডের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন তিনি নিজেই।
এছাড়াও নিয়োগ বোর্ডের এমপি মনোনিত প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন তারই প্রেস সচিব বিতর্কিত জিল্লুর রহমান। মূলত সেই নিয়ন্ত্রণ করেছে নিয়োগ বোর্ড। উক্ত নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিউল ইসলাম ও সদস্য সচিব ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান। এই দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগকে কেন্দ্র করে উপজেলা আ’লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে যার প্রভাব পড়বে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।
নিয়োগ বোর্ডে এমপি মনোনিত প্রতিনিধি চাকুরী প্রাপ্তিদের কাছ থেকে একরকম প্রকাশ্যেই এমপির নাম ভাঙিয়ে প্রায় ২শতাধিক প্রার্থির কাছ থেকে ৭-১২ ক্ষেত্রে বিশেষে ১৩লক্ষ টাকা করে গ্রহন করেছে বলে অভিযোগ আছে। এখানে কোন দল দেখা হয়নি। যে চাহিদামতো টাকা তাকে দিয়েছে চূড়ান্তভাবে তাকেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এতে তৃণমূল কর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে ব্যাপক বিভক্তি। এর দায় কোনভাবেই স্থানীয় সাংসদ এড়াতে পারেননা।
নিয়োগ বোর্ডে নানা অনিয়ম ও ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগে উপজেলার বালানগর গ্রামের স্থানীয় আ’লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে নিয়োগ বোর্ডের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ২১/২০১৮, ধার্য তারিখ ২৯মার্চ। আদালত ইতোমধ্যেই বিবাদীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে। মামলার জবাবকে কেন্দ্র করে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও সদস্য সচিবের মধ্যে দেখা দিয়েছে রশি টানাটানি।
এদিকে মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন জানান, এমপি মনোনিত নিয়োগ বোর্ডের প্রতিনিধি প্রেস সচিব জিল্লুর রহমান একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। সে কখনই আ’লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। যে কারণে যে প্রার্থী বেশি টাকা দিয়েছে সেই নিয়োগ পেয়েছে।
স্থানীয় আ’লীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, এমপির প্রেস সচিব জিল্লুর রহমানের দ্বারা আ’লীগের বহু নেতাকর্মীরা নানাভাবে অপমানিত ও নির্যাতিত হচ্ছে। এব্যাপারে এমপিকে বহুবার তার স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হলেও কোন লাভ হয়নি। বরং যারা অভিযোগ দিয়েছে তাদেরকেই এমপির রোষানলে পড়তে হয়েছে। এখন নেতা কর্মীরা নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। নির্বাচনেই ব্যালটের মাধ্যমে এর জবাব দেয়া হবে বলে তারা জানিয়েছেন।
অনেকেই বলেছেন এই ধরণের বিতর্কিত ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী আর মনোনয়ন দিবেন না। মামলা নিয়ে এখন বিপাকে পড়েছে সরকারি আমলারা। আর বিভক্ত হয়ে পড়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগ।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ