1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
বাগমারায় হুমকিতে জনস্বাস্থ্য ভেজাল, পচা-বাসি খাবারে সয়লাব - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ১৮ জানয়ারী ২০২৫, ০:০৯ অপরাহ্ন

বাগমারায় হুমকিতে জনস্বাস্থ্য ভেজাল, পচা-বাসি খাবারে সয়লাব

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯

বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট বাজারের হোটেল, রেস্তোঁরা গুলোতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল, পচা-বাসি খাবার। এসব পচাবাসি খাবার খেয়ে জনসাধারণ আক্রান্ত হচ্ছে পেটের পীড়াসহ জটিল ও কঠিন বিভিন্ন রকম রোগে। নিয়মিত ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালিত না হওয়ায় এবং স্বাস্থ্য বিভাগের তদারকি না থাকায় হোটেল রেস্তোঁরার মালিকরা জনসাধারণকে অখাদ্য-কুখাদ্য খাইয়ে চলেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ পৌরসভাসহ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও তাহেরপুর পৌরসভায় অন্তত ৪শতাধিক হোটেল রোস্তোঁরা রয়েছে। এসব হোটেল রোস্তোঁরার রান্নাঘরের পরিবেশ এতই নোংরা যে কেউ নিজ চোখে দেখলে কখনও হোটেলে খাবার খাওয়ার আগ্রহ থাকবে না। রান্না ঘরের ভিতরে স্যাঁত সেঁতে ময়লা দুর্গন্ধে দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম। পাশাপশি তেলাপোকা ও ইঁদুর বিড়ালতো রয়েছেই। তৈরী খাবারসহ, খাবার তৈরীর সরঞ্জামাদি খোলা থাকায় বসছে মশা, মাছি ও পোকামাকড়, অপরিষ্কার পানিতে ধোয়া হচ্ছে থালাবাটিসহ খাবারের বিভিন্ন সামগ্রী। পাশাপশি হোটেল বয়দের মধ্যে অনেকেই থাকে অপরিস্কার। ক্ষেত্রে বিশেষে দিনের তৈরী খাবার বিক্রি না হলে ফ্রিজে রেখে কয়েকদিন ধরে এসব খাবার বিক্রি করেন বলেও অনেকে

অভিযোগ তুলেছে। তাছাড়া খাবারের মূল্যও ইচ্ছামত আদায় করা হচ্ছে। উপজেলা সদরের কয়েকটি হোটেল ঘুরে ক্রেতাদের সাথে কথা বললে, তারা জানান নোংরা পরিবেশ আর ময়লা আবর্জনার মধ্যে বাধ্য হয়ে হোটেলে খাবার খেতে হচ্ছে। তারা আরও জানায় নিয়মিত হোটেল ও রোস্তোঁরা বিরোধী মোবাইল কোর্ট পরিচালিত না হওয়ায় হোটেল মালিকরা তাদের ইচ্ছেমত মানুষকে ভেজাল ও পচা-বাসি খাবার পরিবেশন করছেন। স্বাস্থ্য পরিদর্শক ভেজাল খাবার তদারকির নিয়মিত করছে না। ফলে হোটেল মালিকরা তাদের ইচ্ছেমত ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলাবাসীরা জানান, হোটেলে পচা বাসি খাবার খেয়ে মানুষ বিভিন্ন ধরণের জটিল ও কঠিন রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। অপরদিকে প্রতিদিন ঔষধ ক্রয় করে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। নিয়মিত হোটেল ও রেস্তোঁরা গুলোতে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখলে হোটেল ব্যবসায়ীরা সতর্ক থাকত। এতে কিছুটা হলেও জনসাধারণ স্বাস্থ্য সম্মত খাবার খেয়ে জটিল রোগ ব্যাধি থেকে রক্ষা পেত। হাট বাজারের হোটেল রোস্তোঁরাগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমানে বিশেষ করে প্রাইমারী স্কুল, কেজি স্কুল ও হাইস্কুল এবং মাদ্রাসার সামনে কিছু ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ী শিশুদের আকর্ষনীয় নিম্নমানের খাবার বিক্রি করে। যা শিশু স্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ খাবার বলে ডাক্তারগণ পরামর্শ দিয়েছেন। শিশুরা এসব খাবার খেয়ে অল্প দিনের মধ্যেই বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। তাই জরুরী ভিত্তিতে ভেজাল খাদ্য বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

আর/এস

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST