রাজশাহী ,বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় নিজ বাসায় মা ও ছেলেকে জবাই করে হত্যার ৪ বছর পর হত্যা মামলায় মূল পরিকল্পনাকারি ও খুনি আবুল হোসেন মাস্টার সহ ৭ জনকে আসামী করে আদালতে চার্জশীট প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। প্রতিবেদন সূত্রে জানাগেছে আবুল হোসেন মাস্টার ছিলো আকলিমা বেগম (৪৮) ও ছেলে জাহেদুল ইসলাম জাহিদ (২৫) এর খুনি। উপজেলার রাণী রিভার ভিউ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অর্থের লোভে অন্যান্য খুনিদের সহযোগিতায় ধারালো অস্ত্রদিয়ে দেউলা নিজ বাসায় প্রবেশ করে একই কক্ষে মা ও ছেলেকে জবাই করে হত্যা করেছিল।
উক্ত হত্যা মামলার ঘটনার সূত্র উদঘাটন করতে একাধিক তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়। অবশেষে ৪ বছর পর গত ৯ জুলাই মহামান্য আদালতে আবুল হোসেন মাস্টার(৫০) সহ অন্যান্য আসামীরা হলেন দুর্গাপুর উপজেলার ক্ষিদ্রলক্ষিপুর গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলেন মনিরুল ইসরাম ওরফে মনির (২৩), দেবীপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে বিডিআর রাজ্জাক(৩২), শ্যামপুর গ্রামের আতাউর রহমান ওরফে আতাহার এর ছেলে আব্দুল্লাহ আল কাফি(২১), একই এলাকার লবির উদ্দীনের ছেলে রুহুল আমিন(৩০) ক্ষিদ্রকাসিপুর গ্রামের ছানের আলীর ছেলে রুস্তম আলী(২৫), আলিপুর গ্রামের আবুল কাশেম সরদারের ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব(৩৭) এর নামে হত্যা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন শেষে দাখিল করেন।
গত ২৩ নভেম্বর ২০১৪ সালে সন্ধ্যা রাতের নিজ বাসার প্রবেশ করে ময়ন কক্ষে তাদেরকে জবাই করে হত্যা করা হয়। উক্ত ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে দুলাল উদ্দিন বাদী হয়ে বাগমারা থানায় একটি হত্যা মামলা দাখিল করে। আদলতে দাখিলকৃত প্রতিবেদন সূত্রে জানাগেছে নিহত আকলিমা বেগমকে হত্যার পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি তারা নিয়ে যায়। সেই মোবাইল ফোনের সূত্রধরে আস্তে আস্তে ধৃত আসামীগণ ১৪৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। উক্ত জবানবন্ধীতে তারা স্বীকার করে যে জোড়া খুনের মূল পরিকল্পনাকারি এবং খুনি আবুল হোসেন মাস্টারের সাথে হাবিবুর রহমান হাবিব সমন্বয় করে ধৃতদের টাকার বিনিময়ে কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করায়।
সেই সাথে আদালতে আরো জানায় উক্ত জোড়া খুন সংগঠিত করেছে আবুল হোসেন মাস্টার। অন্যান্য আসামীরা সেই কিলিং মিশনে সহযোগিতা করে। যাতে কোন ভাবে তাদের উপরে পাল্টা আক্রমণ করতে না পারে আকলিমা বেগম ও তার ছেলে জাহিদুল ইসলাম। মা ছেলের মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা সেই থেকে পালিয়ে যায়।
জোড়া খুনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন এর পরিদর্শক আলমগীর হোসেন জানান, দীর্ঘ ৪ বছর ধরে ব্যাপক অনুসন্ধানের পর মূল পরিকল্পনাকারি ও খুনি সহ এর সাথে জড়িত ৭ জনকে আসামি করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই