বাগমারা প্রতিনিধি: বাগমারার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামের গৃহবধূ মাধূরী আক্তার মুক্তির (১৬) আত্মহত্যার ঘটনায় স্বামী ও শ্বাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- মুক্তির স্বামী মোস্তফা কামাল জুয়েল (২২) ও শ্বাশুড়ি জুলেখা খানম (৫০)। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। রোববার সরজমিনে এলাকায় গিয়ে জানা যায়, নওগাঁর হাঁপানিয়া চকগৌরী এলাকার মকলামপুর গ্রামের বাবুল হোসেনের মেয়ে মাধূরী আক্তার মুক্তি। জন্মের ৫ বছর পর থেকেই সে বাগমারার বিলমালোলী গ্রামে নানার বাড়িতে থাকতো। তারা নানার নাম ফসির উদ্দিন। নানার আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় প্রায় দুই বছর পূর্বে দেওপাড়া গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোস্তফা কামাল জুয়েলের সঙ্গে বিয়ে হয় মুক্তির। তাদের সংসারে মোব্বাশিরা নামে দেড় বছর বয়সের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।
সম্প্রতি মুক্তি প্রতিবেশি এক যুবকের সঙ্গে পরোকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে বলে গ্রামের লোকজন জানান। এ নিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিশ-বৈঠকও হয়েছে। এক পর্যায়ে জুয়েলের সঙ্গে আর সংসার করবে না বলে মুক্তি নানার বাড়িতে চলে যায়। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে জুয়েলের পক্ষের লোকজন নানার বাড়িতে গিয়ে মুক্তিকে ফিরিয়ে আনেন। কিন্তু স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসার ইচ্ছা না থাকা সত্বেও তাকে ফিরিয়ে আনায় সে সারা রাত কারো সঙ্গে কোনো কথা না বলে একদম নীরব থাকে। শুক্রবার সকাল থেকে মুশলধারে বৃষ্টি শুরু হলে সেই সুযোগে সকলের অগোচরে ঘরের মধ্যে শিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করে গৃহবধূ মাধূরী আক্তার মুক্তি। খবর পেয়ে হাটগাঙ্গোপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ এসে গৃহবধূ মুক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় এবং ময়না তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর নানার পারিবারিক গোরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
হাটগাঙ্গোপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূ মাধূরী আক্তার মুক্তির সন্দেহমূলক আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা হওয়ার পর স্বামী ও শ্বাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
খবর২৪ঘন্টা/নই