1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
বাগমারায় কুড়িটি অবৈধ ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ রাস্তার দু’ধার হয়ে পড়ছে বৃক্ষ শূণ্য: দুষিত হচ্ছে পরিবেশ - খবর ২৪ ঘণ্টা
শুকরবার, ১০ জানয়ারী ২০২৫, ০:৫০ অপরাহ্ন

বাগমারায় কুড়িটি অবৈধ ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ রাস্তার দু’ধার হয়ে পড়ছে বৃক্ষ শূণ্য: দুষিত হচ্ছে পরিবেশ

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৯

বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা কুড়িটি ইটভাটায় অবাধে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন রাস্তার দু’ধার বৃক্ষ শূন্য হয়ে পড়ছে অন্যদিকে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়ে মারাত্নকভাবে পরিবেশ দুষিত হয়ে পড়ছে। রাজশাহীর পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাগমারার বিভিন্ন এলাকায় লোকালয়ে কৃষি জমির উপর কয়েক বছর ধরে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি সরকারি অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন করে ব্যবসা করে আসছেন।

ভাটাগুলো হচ্ছে- উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বানাইপুর মোড়ে রশিদুল ইসলামের ভাটা, হাট নরদাশ এলাকায় ইয়ানুছ আলী ও খয়বর আলীর ভাটা, পারিলা মোড়ে শফিকুল ইসলাম, সুজন পালশায় মোয়াজ্জেম হোসেন, মোস্তাক আহম্মেদ, আলতাব হোসেন ও হাটমাধনগর এলাকায় বাবুর ভাটা, গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের করখন্ড মাদরাসা সংলগ্ন আমিনুল ইসলামের ভাটা, চাইসারা মোড়ে খুরশেদ আলম, পশ্চিম দৌলতপুরে ইয়ানুছ আলী, দেওপাড়ায় খুরশেদ আলম, আউচপাড়া ইউনিয়নের হাট খুজিপুর এলাকায় দুলাল হোসেন, হাটগাঙ্গোপাড়া এলাকায় মাসুম ও বুলুর ভাটাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে লোকালয়ে গড়ে উঠা প্রায় ২০টি ইটভাটা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই স্থাপন করা হয়েছে। এসব ভাটার কোনো বৈধ লাইন্সে নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্রও নেই। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনো ইটভাটা স্থাপন করতে হলে প্রথমেই বিএসটি.আই কর্তৃক লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। কিন্তু এসব ভাটা স্থাপনের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি।

পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ১২০ ফুট উঁচু পাকা কংক্রিটের স্থায়ী চিমনি ছাড়া কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু এসব ভাটা স্থাপনের ক্ষেত্রে সেই নিয়মও মানা হয়নি। পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপন অমান্য করে মাত্র ২৫/৩০ ফুট উঁচু টিনের চিমনি দ্বারা এসব ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। এ কারণে সামান্য উঁচু চিমনি দিয়ে নির্গত কালো ধোঁয়া উপরে না গিয়ে নিচের দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে ভাটা সংলগ্ন এলাকার জমির কৃষি আবাদ মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। নির্গত কালো ধোঁয়ার কারনে ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন রোগ। এছাড়া অনুসন্ধানে জানা যায়, অবৈধ এসব ইটভাটায় বাগমারা ও মোহনপুর উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার দু’পার্শ্বে রোপিত নানা প্রজাতির ছোট ছোট গাছ কেটে অবাধে জ্বালানী হিসাবে ইটপোড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে জানান, একটি সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে রাতের আধারে সরকারি রাস্তার দু’পার্শ্বের শিশু, মেহগনি, আম, জাম ও বাবলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ভুটভুটি/নসিমনযোগে ওইসব ভাটায় সরবরাহ করা হয়।

এতে একদিকে যেমন রাস্তার দু’ধার বৃক্ষ শূন্য হয়ে পড়ছে অন্যদিকে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়ে মারাত্নকভাবে পরিবেশ দুষিত হয়ে পড়ছে। অপরদিকে কৃষকদের অর্থের লোভ দেখিয়ে কৃষি জমির (টপ সয়েল) মাটি কেটে ইট তৈরির জন্য ভাটার সামনে এনে স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। এতে কৃষি জমির উর্বরতা শক্তিও কমে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, লোকালয়ে কৃষি জমির উপর অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন ও জ্বালানী হিসাবে কাঠ পোড়ানোর অপরাধে গত বছর মেসার্স বস ব্রিকস এর মালিক আমিনুল ইসলাম, মেসার্স এমএএস ব্রিকস এর মালিক জুয়েল রানা এবং কেএএইচবি ব্রিকস এর সত্বাধিকারি শহিদুল ইসলামসহ বাগমারার সাতটি ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মকবুল হোসেন বাদী হয়ে বাগমারা থানায় পৃথকভাবে ওই সাতটি মামলা করেছিলেন। কিন্তু মামলা করার পরও ওইসব ভাটা মালিকের বিরুদ্ধে যথাযথভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) পরিবেশ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান। যার কারণে ভাটাগুলো আজও বন্ধ করা যায়নি। তাছাড়া ওইসব ভাটা মালিকেরা এলাকার অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি। তারা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ভাটার নাম পাল্টিয়ে নির্বিঘ্নে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও ওই কর্মকর্তা অভিযোগ করেন।

 

খবর ২৪ঘণ্টানই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST