বাগমারা প্রতিনিধি: বাগমারা ও আশে পাশের এলাকার বিভিন্ন খাল বিল আবার বন্যার পানিতে টইটুম্বর হয়ে ওঠেছে। এসব খাল বিলের পানি নেমে গেলেও গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে আবার ফুলেফেঁপে ওঠেছে বন্যা। আর এই বন্যার পানিতে মিলছে ব্যাপক হারে বিভিন্ন দেশি প্রজাতির মাছ। অনেকটা সস্তায় মিলছে এসব মাছ। বিভিন্ন হাটে বাজারে এমনকি রাস্তার মোড়ে মোড়ে অতি সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে এসব মাছ।
স্থানীয় মৎসজীবি ও উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এর আগে প্রথম দফা বন্যার পানি নেমে গিয়ে খাল বিল প্রায় শুকিয়ে যায়। তবে কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার উজানের পানি নেমে আসতে শুরু করে। সেই সাথে গতকয়েক দিন ধরে প্রবল বর্ষণের ফলে উজানের পানি যোগ হয়ে হুহু করে বাড়তে থাকে বন্যার পানি । আর এই পানিতে ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরার জন্য দল বেঁধে নেমে পড়েছে সৌখিন মৎস শিকারীরা।
গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকার অধিকাংশ খাল বিলে আবার বন্যার পানি বাড়তে শুরু করেছে। সকল ¯øুইস গেটের মুখও খুলে দেওয়া হয়েছে। এসব এলাকার তুলনামূলক উচু জমিতে কৃষক আমন চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
আর খাল বিলের পানি নামতে থাকায় সেখানে দেশীয় বিভিন্ন ছোট মাছে শিকারে মেতে উঠেছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন। কেউ কেয়া জাল দিয়ে কেউ তড়িয়া জাল দিয়ে কেউ খোলসান সহ বিভিন্ন দেশীয় উপকরন দিয়ে মাছ শিকার করছে। এভাবে মাছ শিকার এখন উৎসবে পরিনত হয়েছে ।
ভটখালি বাজারের দয়ের হাটা এলাকায় দেখা যায় বেশ কিছু মাছ শিকারীকে বিভিন্ন উপকরন দিয়ে মাছ শিকার করতে। এখানে মাছও মিলছে অনেক। তড়িয়া জাল দিয়ে যারা মাছ মারছে তাদের জালে ওঠছে বিভিন্ন দেশী প্রজাতির ছোট মাছ সহ হাফ কেজি এক কেজি ওজনের রুই কাতলা বোয়াল ।
ছোট মাছ ধরতে এসে এভাবে জালে বড় বড় মাছের দেখা পেয়ে সৌখিন জেলেরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ছে। এছাড়া দুই ধারে খেয়া জাল দিয়ে মাছ শিকার করছে অনেক পেশজীবি জেলেরা। তাদের জালেও কদাচিৎ এক দেড় কেজি ওজনের রুই কাতলার দেখাও মিলছে।
মাছ ধরতে এসে এভাবে জালে বড় বড় মাছের দেখা পেয়ে সৌখিন জেলেরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ছে। এছাড়া দুই ধারে খেয়া জাল দিয়ে মাছ শিকার করছে অনেক পেশজীবি জেলেরা। তাদের জালেও কদাচিৎ এক দেড় কেজি ওজনের রুই কাতলার দেখাও মিলছে।
স্থানীয় ভোক্তাদের কাছেই এই মাছ বিক্রি করে দিচ্ছে জেলেরা। কারণ বেশি দামের জন্য বাজারে নিয়ে যাওয়ার সময় কম। তার চেয়ে দু’পয়সা কম দামে দিয়ে মাছ শিকারে সময় দিলে বেশি লাভ। জেলে আফজাল হোসেন , নওশাদ আলী সহ ৫/৬ জন জানান, প্রতিদিন তারা এক থেকে দেড়মন হারে বিভিন্ন মাছ ধরছেন। ছোট মাছ সহ সব ধরণের মাছই তারা কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
এক কেজি ওজনের একটি রুই তারা বিক্রি করছে দেড়শো টাকা কেজিতে। এছাড়া মলা চেলা গুচি টেংরা সহ বিভিন্ন ছোট প্রজাতির মাছও বিক্রি করছেন তুলনামুলক কম দামে। এখানকার অনেক জেলেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনেকে এসব স্থানে দুই তিন ইঞ্চি সাইজের রুই কাতলা সহ বিভিন্ন পোনা শিকার করেছন নির্বিচারে। বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই ।
খবর২৪ঘন্টা/নই