1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
বাংলাদেশে চীনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা আটকে গেছে যে কারণে - খবর ২৪ ঘণ্টা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশে চীনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা আটকে গেছে যে কারণে

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৯ জুলা, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চীনের ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা বাংলাদেশে আটকে গেছে। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলেছেন, এই পরীক্ষা চালানোর ব্যাপারে চীন সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানানোর কারণে তাতে এখনও অনুমতি মেলেনি।

অন্য কোনো দেশের ভ্যাকসিন পরীক্ষা বা গবেষণা চালানোর জন্য সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন বলে কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন। তবে চীনের কোম্পানি ঢাকায় আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বা আইসিডিডিআর ,বির মাধ্যমে পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল।

চীনের সিনোভেক বায়োটেক কোম্পানি ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালানোর জন্য ঢাকায় আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বা আইসিডিডিআর, বি প্রস্তুতি নিয়েছিল। এই প্রস্তুতি পর্বে বাংলাদেশের মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল বা বিএমআরসির কাছ থেকে অনুমতিও নিয়েছে।

অল্প সময়ের মধ্যে আইসিডিডিআর,বি সাতটি হাসপাতালের নির্দিষ্ট করা মানুষের মাঝে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করবে- এমন ধারণাও দেয় হয়। কিন্তু এরই মাঝে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন যে, টিকার ট্রায়াল দুই রাষ্ট্রের বিষয় এবং তাতে সিদ্ধান্ত নিতে সময় প্রয়োজন। এমন বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে চীনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আব্দুল মান্নান বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে চীন সরকার বাংলাদেশ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানানোর কারণে তা নিয়ে কোন আলোচনা বা অগ্রগতি নেই। ‘আমাদের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগকে বা স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে অফিসিয়ালি কোন চিঠিপত্র কিন্তু কেউ পাঠায়নি, বা আমরা কারও চিঠি পাইনি বা গ্রহণ করিনি এ প্রসঙ্গে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘একটি কথা বলা যায়, চাইনিজ কোন টিম এসে যদি ট্রায়ালটা করতে চায়, তাহলে এখানে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পর্যায় থেকে একটা উদ্যোগ নেয়ার কথা। ওই চ্যানেল থেকেই কিন্তু কাজটা করার কথা এবং সরকারের একেবারে হাইয়েস্ট লেভেল থেকে সিদ্ধান্তটা হওয়ার কথা। -আমার মনে হয় যে, আমরা এখনও সেভাবে অফিসিয়ালি কিছু পাইনি বা কোন অগ্রগতি নেই।’

কয়েকদিন আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রীও বলেছিলেন, ভ্যাকসিন পরীক্ষার বিষয়ে চীন সরকারের বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানালে তখন সরকারে তা নিয়ে আলোচনা বিষয় আসবে এবং করোনাভাইরাস সর্ম্পকিত সরকারের বিশেষজ্ঞ বা কারিগরী কমিটি পর্যালোচনা করে সুপারিশ করবে।

বাংলাদেশে ভ্যাকসিন পরীক্ষার নিয়ম তাহলে কি আছে, এ ব্যাপারে সরকারের বিশেষজ্ঞ বা কারিগরি কমিটির প্রধান অধ্যাপক মো: শহীদুল্লাহ বলছেন, ‘আমাদের দেশে কোন ভ্যাকসিন বা ওষুদের গবেষণা যদি করতে হয়, তাহলে গবেষকদল প্রথমে একটা ভাল প্রটোকল তৈরি করবে। সেই প্রটোকল তারা বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল বা বিএমআরসি’র কাছে জমা দেবে। বিএমআরসি এথিক্যাল ক্লিয়ারেন্স দেবে।এটা একটা ধাপ।’

‘দ্বিতীয় ধাপটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভ্যাকসিনতো একটা প্রডাক্ট। এটা মানুষের দেহে প্রয়োগ করবে। ফলে কোনো মেডিক্যাল প্রডাক্ট বা গবেষণার জিনিস বা ওষুদ বাংলাদেশে আনতে হলে ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন নিতে হয়।’

তবে এই নিয়ম সরকারের পক্ষ থেকে ভিন্ন ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। সরকার বলেছে, এই নিয়মে দেশীয় গবেষকদের জন্য প্রযোজ্য। স্বাস্থ্য সচিব মো: আব্দুল মান্নাস বলেছেন, “অন্য দেশের গবেষণার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।

‘যেহেতু আরেক দেশের টিম আসবে মানে বিশেষজ্ঞরা আসবে। আরেকটা দেশ থেকেতো আসবে। তারা চায়না থেকে আসবে। তারা যখন আসবে বাংলাদেশে একটা অনুমোদনেরওতো ব্যাপার আছে নাকি? এটাতো আমাদের দেশীয় কোন গবেষণা প্রতিষ্ঠান নয়। আমারতো মনে হয়, এগুলো আরেকটু চিন্তাভাবনা করার বিষয় আছে।’

সচিব মান্নান আরো বলেছেন, ‘আমরাও অপেক্ষায় আছি, এরকম চিঠিপত্র যদি আমরা পাই আনুষ্ঠানিকভাবে, তাহলে আমরা তার জবাব দেবো এবং ব্যবস্থা নেবো।’ তিনি অবশ্য বলেছেন, চীন সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হলে তখন তা বিবেচনা করা হতে পারে।

এদিকে, কয়েক সপ্তাহ আগে চীনের একটি বিশেষজ্ঞ দল দল ঢাকা সফর করে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করেছিল। চীনে এই দলটি করোনাভাইরাস সামলানোর তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার পাশাপাশি বাংলাদেশকে সহায়তা করার কথা বলেছে। সে সময়ই চীনের ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ে মানুষের মাঝে প্রয়োগের পরীক্ষা বাংলাদেশে করার বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে খবর হয়েছিল।

ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত প্রথম টিকা গ্রহণকারি হবেন বলে তিনি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে এমন বক্তব্য দিয়েছিলেন। এরপর চীনা কোম্পানি আইসিডিডিআর,বি’র মাধ্যমে এই পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের অনুমতির প্রশ্ন আসায় সেই পরীক্ষা অনিশ্চয়তায় পড়েছে।

আইসিডিডিআরবি’র একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রস্তুতি পর্বে জটিলতা দেখা দেয়ায় বিষয়টিতে তাদের দিক থেকে এখনই নতুন কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। সূত্র : বিবিসি

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST