খবর২৪ঘণ্টা, ডেস্ক: বর্তমান সংবিধানিক কাঠামো এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে তারা নীতিগতভাবে রাজি আছেন বলে জানিয়েছেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
ড. কামাল হোসেন এ বিষয়ে জানান, তাদের নবগঠিত জোটের শরিকদের সঙ্গে এব্যাপারে কোন কথা হয়নি। এটি শুধুই তার দলের অবস্থান।
বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন জানান, তাদের এই জোট কোন নির্বাচনী জোট নয়। একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আদায়ের লক্ষ্যেই শুধু তারা একজোট হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করার জোট। যে কারণে এটা দ্রুত করা সম্ভব হয়েছে।’
ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, ‘এটা একটা সিম্পল প্রভিশন। আমি মনে করি সবাই এটা বলতে দ্বিধা করবেন না। তবে এরকম কোন সিদ্ধান্ত আমরা বসে নেইনি।’
তিনি বলেন, ‘বলা হচ্ছে, তারা যেগুলো আইনে আছে, এগুলো মেনে চলবেন। যদি দেখা যায় যে, তারা এখান থেকে সরে যাচ্ছেন বা কোনো প্রভাব ফেলার চেষ্টা করছেন। তখন এটা দৃষ্টি এলে প্রথমেতো আপত্তি করা হবে যে, এটা থেকে আপনারা বিরত থাকেন। এরপরও অন্যপক্ষ যদি দেখেন যে রীতিনীতি না মেনে এটা করা হচ্ছে। তখন তো নির্বাচন বাতিল করার জন্য কোর্টে যেতে হবে।’
নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ড. কামাল উল্লেখ করেন, যারা সরকারে থাকবে, নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে তাদের দায়িত্ববোধ থাকতে হবে।
‘বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ যারা আছেন, তারা যখন একটা স্বাক্ষর করবেন যে, আমরা কেউ এখানে হস্তক্ষেপ করবো না, আমরা এই প্রক্রিয়াকে একটা নিরপেক্ষ প্রক্রিয়া হিসেবে হতে দেবো,তখন আমরা ধরে নিতে পারি সরকারের পক্ষে বা আমাদের পক্ষে যারা ওথ (শপথ) নিয়ে কথাগুলো বলবেন, তাদেরতো ন্যূনতম একটা দায়িত্ববোধ থাকবে।’
‘নির্বাচন কমিশন এটা রেফারি হিসেবে পরিচালনা করবে।কেউ যদি নিরপেক্ষতা থেকে সরে যায় তারা সেটা চিহ্নিত করবে এবং এটাকে অবৈধ বলবে। এগুলোতো ইলেকশন আইনেই আছে।’
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ব্যানারে শনিবার এই জোটের প্রথম যে সমাবেশ হয়, সেখান থেকে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয় এবং আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সে সব দাবিদাওয়া মেনে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
খবর২৪ঘণ্টা,কম/জন