খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: রাঙ্গামাটিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলার প্রধান আসামি অর্পণ চাকমা নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের মাইসভাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত অর্পণ চাকমা ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সশস্ত্র শাখার সদস্য বলে জানায় নিরাপত্তা বাহিনী।
ঘটনার পর দুপুরে রাঙ্গামাটি সেনা জোনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়, রাঙ্গামাটি জোনের সুবলং ক্যাম্পের নিয়মিত টহল নৌযানে বন্দুকভাঙ্গার বানাসছড়ি এলাকায় গমন করে। তারা মাইসভাঙ্গা এলাকায় অবতরণের পর পাহাড় থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আকস্মিকভাবে গুলিবর্ষণ করে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে টহলদলও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। এ সময় আরও একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর ২০-২৫ মিনিট গুলিবর্ষণের পর সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। এরপর নিরাপত্তা বাহিনী পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ সময় অর্পণ চাকমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মরদেহের সঙ্গে একটি ব্যাগে রক্ষিত টেলিফোন, চাঁদার রশিদ ও অন্যান্য ব্যক্তিগত সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি অত্যাধুনিক বিদেশি পিস্তল, একটি দেশীয় অস্ত্র, বেশ কিছু পিস্তলের গুলি, এলজির কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, অর্পণ চাকমা ও তার সহযোগীরা বিগত তিন থেকে চার মাস ধরে বন্দুকভাঙ্গার বানাসছড়ি এলাকায় নিয়মিতভাবে স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করছে।
রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছুফি উল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা তার মরদেহ উদ্ধার করেছি।
খবর২৪ঘন্টা/নই