খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক:নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় রাস্তার মাঝখান থেকে সরে দাঁড়াতে বলায় পুলিশের এক কর্মকর্তাসহ ৪ সদস্যের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ৩ রাউন্ড গুলি ছুড়ে।
সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় সোহেল নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে ফতুল্লার চর কাশিপুর তিন রাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। আটক সোহেল ওই এলাকার মৃত. আলী হোসেনের ছেলে।
আহতরা হলেন, ফতুল্লা মডেল থানার এসআই ফাহেয়াত উদ্দিন রক্তিম, কনস্টেবল হেলাল উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম ও আলমগীর হোসেন।
এসআই ফাহেয়াত উদ্দিন রক্তিম জানান, সিএনজিযোগে তিন কনস্টেবল নিয়ে চর কাশিপুর এলাকায় ডিউটি করছিলাম। তিন রাস্তার মোড় দিয়ে অতিক্রম করার সময় জুয়েল নামে এক যুবক রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকায় সিএনজিযোগে যেতে পারছিলাম না। এতে ওই যুবককে সরে দাঁড়াতে বললে সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
এতে আমি তাকে বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরানোর চেষ্টা করি। কিন্তু ওই যুবক আমার বুঝ না মেনে ফোন করে লোকজন এনে আমাদের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। তখন রাস্তার একপাশে কনস্টেবলদের নিয়ে আশ্রয় নিলে হামলাকারীরা আমাদের ঘিরে ফেলে এবং মারধর শুরু করে।
এসময় আত্মরক্ষার্থে হামলাকারীদের ধাক্কা দিয়ে দূরে গিয়ে আমার পিস্তল থেকে দুই রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ি। তখন সন্ত্রাসীরা কিছুটা দূরে সরলে কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলমের শর্টগান থেকে এক রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে।
এতে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় সোহেল নামে একজনকে আটক করি। সন্ত্রাসীদের হামলায় আমিসহ তিন কনস্টেবল আহত হয়েছি। প্রত্যেকে শহরের খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের বলেন, যারা সামান্য বিষয় নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে তারা সাধারণ নয়। এদের দ্বারা এলাকাবাসী নির্যাতিত হয়। ফতুল্লার কোনো এলাকায় সন্ত্রাসী থাকবে না।
এ বিষয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে বলে ওসি জানান।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন