খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: দৃক ফটোগ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা ও ফটো সাংবাদিক শহিদুল আলমকে নিজ বাসা থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় তাকে ধানমন্ডি ৯/এ এর বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন। তিনি পুলিশের হেফাজতে নেই বলে জানিয়েছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।
শহিদুলের সহকর্মী এএসএম রেজাউর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, শহিদুল যে বাসায় থাকেন তার নীচতলার নিরাপত্তাকর্মী মো. জালাল তাঁকে বলেছেন, সাড়ে আটটার দিকে প্রায় ১৫টির মতো গাড়ি বাসার আশপাশে এসে দাঁড়ায়। তখন পাশে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল, তাই জালাল ভেবেছিলেন এসব গাড়ি সেখানেই এসেছে। একটু পরে ওসব গাড়ি থেকে লোকজন নেমে জালালকে
ফটক খুলতে বাধ্য করেন। বাড়িটির গাড়ি বারান্দায় তারা জোর করে একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস ঢুকিয়ে দেয়। জালালকে আটকে রাখা হয়। তখন জালাল অনুপ্রবেশকারীদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা নিজেদের ‘ডিবি’ বলে দাবি করেন এবং তাঁদের কোথাও ঢুকতে বাধা দিলে সমস্যা হয় বলেও জালালকে সতর্ক করেন। এরপর লোকগুলো সিঁড়ি দিয়ে চারতলায় উঠে যান। বাসায় শহিদুল একাই ছিলেন, স্ত্রী রেহনুমা তিনতলায় এক সহকর্মীর বাসায় দাওয়াতে গিয়েছিলেন। ওই বাসায় শহিদুলেরও দাওয়াত ছিল, তিনি
স্ত্রীকে রেখে কিছু আগে নিজের ফ্ল্যাটে ঢোকেন। সেখান থেকেই লোকগুলো শহিদুলকে নিয়ে লিফট দিয়ে নীচে নামেন। এসময় শহিদুলের চীৎকার শুনে রেহনুমাও তিনতলার বাসা থেকে বের হয়ে আসেন। তবে তাঁরা নামতে নামতে শহিদুলকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় লোকগুলো। গাড়িটিতে পপুলার লাইফ ইন্সুলেন্স লেখা ছিল। তাঁরা বাড়ির সিসি ক্যামেরা অচল করে দেয়। ক্যামেরার ফুটেজ যেখানে সংরক্ষণ করা হয় সেই ডিভিআর বক্সও নিয়ে যায়।
শহিদুলের স্ত্রী রেহনুমা জানান, তাঁরা ধানমণ্ডি থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল দেখে গেছে। তিনি থানায় গিয়ে অপহরণের মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি-ধানমন্ডি) আবদুল্লাহ হেল কাফি বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমরা পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখছি।’
ধানমন্ডি থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিদ-উল-ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার প্রক্রিয়া চলছে।’
প্রসঙ্গত, চলমান ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতা নিয়ে রোববার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরায় সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন শহিদুল আলম।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন