প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঠিক প্রথমে যখন করোনাভাইরাস দেখা দিলো তখন যেভাবে আমরা সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করলাম সেইভাবে এবারও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ইতোমধ্যে কিছু নির্দেশনা আমরা দিয়েছি। ধীরে ধীরে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি এটাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে। সেক্ষেত্রে জনগণের সহযোগিতা দরকার।
আজ বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনা আমরা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছিলাম। আবার বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এবারের করোনাভাইরাসটা হঠাৎ করে খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশেও এমন দ্রুত বেড়ে গেছে, যেটা চিন্তাও করা যায় না। আমরা যেহেতু ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছি, তাই বোধ হয় মানুষের মাঝে একটা বিশ্বাস জেগে গেছে, যার জন্য সবাই একটু ভাবছিল যে কিছুই বোধ হয় আর হবে না। আমি কিন্তু বারবার বলছিলাম, ভ্যাকসিন নিলেও সাবধান থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধিগুলো মানতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানাটা কিন্তু বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, দেখা যাবে বিয়ের অনুষ্ঠানসহ যারা বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে গেছে বিশেষ করে পর্যটনকেন্দ্র যেমন কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে অনেক লোক, সেখান থেকে যারাই আসছে তারাই কিন্তু আক্রান্ত। দাওয়াত-পানি, খাওয়া-ধাওয়া এবং দোকানপাটে যাওয়া- এগুলো যেন অতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, বিয়েশাদি যেগুলোর দিন তারিখ ঠিক হয়েছে, সেগুলো খুব কম লোক নিয়ে ঘরোয়াভাবে করবেন। বাইরের লোকের সঙ্গে না মিশে, দোকানপাটে গেলেও খুব অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে ঘরে ফিরবেন। আমরা একেবারে সব কিছু কমিয়ে এনেছিলাম। আমাদের অর্থনৈতিক কাজগুলো চলছিল। অফিস-আদালতে আমরা বলে দিয়েছি, যেন সেখানে সীমিত লোক নিয়ে কাজ করা হয়। বেশি যেন মেশামেশি না হয়, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
জেএন