1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
রাজশাহীর এসপির উদ্যোগে মাহফুজা ফিরে পেল নতুন জীবন - খবর ২৪ ঘণ্টা
শুকরবার, ১০ জানয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৯ অপরাহ্ন

রাজশাহীর এসপির উদ্যোগে মাহফুজা ফিরে পেল নতুন জীবন

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহর বিশেষ উদ্যোগে গোদাগাড়ীর কলেজ ছাত্রী মাহফুজা ফিরে পেল নতুন জীবন। সেই সাথে পেল নতুন সংসার। পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে নতুন সংসার পাওয়ায় আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছেন মাহফুজা। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে মাহফুজা সক্ষম হলো তার প্রেমিককে আপন করে পেতে। গত ২১ আগস্ট গভীর রাতে গোদাগাড়ী পৌর এলাকার মহিশালবাড়ী গ্রামের মহিশালবাড়ী মহিলা মাদ্রাসার ডিগ্রী শেষ বর্ষের ছাত্রী ও আব্দুল মতিনের মেয়ে মাহফুজা খাতুনের বিয়ে হয় একই গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে প্রেমিক রিজনের সাথে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত সাড়ে ৩ বছর আগে একই গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে মোঃ রিজন (২৫) এর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়ে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে রিজন মাহফুজার সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এরপর ভাল চাকুরী হলে তাকে বিয়ে করবে এমন প্রতিশ্রতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখে। সময়ের ব্যবধানে রিজনের একটি চাকুরী হয়। চাকুরীর কথা শুনে মাহফুজা তাকে বিয়ের দাবি জানালে তাকে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয় রিজন। সেই সাথে আরো জানায়, সে অন্য মেয়েকে বিয়ে করবে।সে যেন তাকে বিরক্ত না করে।

প্রেমিকের এমন কথা শোনার পর বেশ কয়েকবার আত্মহত্যারও চেষ্টা করে মাহফুজা। এ ঘটনার পর মাহফুজা গোদাগাড়ী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগের পরও তেমন কোন অগ্রগতি না হলে ওই মেয়ে রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহর সাথে দেখা করে তার সমস্যার কথা জানান। তার কথা শুনে পুলিশ সুপার গোদাগাড়ী থানার ওসিকে বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কড়া নির্দেশ দেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশে ওসি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম রিজন ও তার বাবা শাহাদত হোসেন কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
কিন্ত ছেলের বাবা তার ছেলেকে মাহফুজার সাথে বিয়ে দিবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয়। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে গভীর রাতে মাহফুজা ও রিজনের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। আড়াই লক্ষ টাকা দেন মোহরে তাদের বিয়ে সম্পন হয়।
মাহফুজা খাতুন বিয়ের দাবি সফল হওয়াতে শনিবার গোদাগাড়ী থানায় এসে মিষ্টি মুখও করিয়ে গেছেন। প্রেমে সফল হওয়ায় মাহফুজা খুশি।

এ বিষয়ে রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ বলেন, বিষয়টি জানার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গোদাগাড়ী থানা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর থানায় তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ ভাল কাজের সাথে সবসময় থাকে। তাদের দু’জনকে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ করতে পেরে ভাল লাগছে।

খবর২৪ঘণ্টা/এমকে

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST