খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: স্তন ক্যান্সার যে শুধু নারীদেরই হচ্ছে তা নয়। পুরুষদের স্তনেও এ ক্যান্সার বাসা বাঁধতে পারে। চিকিৎসকরা মূলত তিনটি কারণকেই এর জন্য দায়ী করেছেন।
১. জেনেটিক অর্থাৎ জন্মসূত্রেই পুরুষের শরীরে এই রোগের জীবানু থাকে। দেখা গেছে, প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পুরুষ বংশানুক্রমিকভাবেই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন।
২. শরীরে ইস্ট্রোজেন ও অ্যান্ড্রেজেনের অনুপাতের তারতম্যের কারণেও পুরুষদের স্তন ক্যান্সার হতে পারে। মারিজুয়ানার অভ্যাস, থাইরয়েড, ওবেসিটি, যকৃতের কর্মহীনতার কারণেই পুরুষদের স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে।
৩. অনেক সময় পুরুষের অণ্ডোকোষও তাদের শরীরে স্তন ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, মধ্য ও পূর্ব আফ্রিকার পুরুষদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাই বেশি। যকৃতে সংক্রমণ থেকেই তাদের স্তন ক্যান্সার হয়।
বার্ধক্যে থাকা পুরুষদের মধ্যেই স্তন ক্যান্সার বাসা বাঁধে, তবে অল্প বয়সীরাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। যদি প্রথম ধাপেই স্তন ক্যান্সারকে শনাক্ত করা যায় তাহলে অল্পবয়সী পুরুষকে বাঁচানো সম্ভব। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিশেষ করে পুরুষদের স্তন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা অপারেশন করে সংক্রামক টিস্যুগুলো বাদ দিয়ে দেয়। এ ছাড়া কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপিতে স্তন ক্যান্সার সারানো যায়।