1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
পুনরায় ‘অর্থবহ’ নির্বাচনের দাবি বিশিষ্টজনদের - খবর ২৪ ঘণ্টা
শুকরবার, ২৪ জানয়ারী ২০২৫, ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন

পুনরায় ‘অর্থবহ’ নির্বাচনের দাবি বিশিষ্টজনদের

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৯ ফেব্ুয়ারী, ২০১৯

খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ গ্রহণযোগ্য হয়নি দাবি করে পুনরায় ‘অর্থবহ’ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিশিষ্টজনেরা। সোমবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি আয়োজিত একাদশ জাতীয় সংসদ ‘নির্বাচন’: পরবর্তী করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এ দাবি জানান।

আলোচনা সভায় সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার শাহদিন মালিক বলেন, ‘এক ব্যক্তি ১৫ বছর ধরে দেশ পরিচালনা করছেন, এ রকম দেশের সংখ্যা প্রায় ৫০টি। এই ৫০টি দেশের মধ্যে দু-একটা ধ্বংসের পথে চলে গেছে। এ ধরনের নির্বাচনে দেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে যায়। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে দেশের অর্থ বাইরে চলে যাবে, দেশে বিনিয়োগ হবে না। আমরা অর্থনৈতিকভাবে কঠিন সময়ের মুখোমুখি হচ্ছি। এখন এখান থেকে বের হওয়ার প্রধান উপায় একটা অর্থপূর্ণ নির্বাচন দেওয়া।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশনের ওপর কারও আস্থা নেই এবং তা প্রহসনের কমিশনে পরিণত হয়েছে। এই কমিশনের অধীনে কোনও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না; তারা তা বিগত দুই বছরের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করেছে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশে কখনই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। কোনও উদাহরণ বাংলাদেশে নেই। কিন্তু সরকারি দলের অধীনে নির্বাচনের একটা ধরণ আমরা দেখি, আবার এর বাইরে বের হয়ে নির্বাচনটাকে গ্রহণযোগ্য করার একটা চেষ্টাও দেখি। ১৯৮৮ সালে ও ১৯৯৬ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন হয়েছিল, ২০১৪ সালেও একটি নির্বাচন দেখেছি, কিন্তু ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে।’

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, ‘আমি জামিনে আছি, এটা কিন্তু মুক্তি না। কিন্তু তার বাইরে একটা জিনিস রয়েছে। আমি যে দেশে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি না, তাহলে আমি মুক্ত না। আমি না হয় হাজত থেকে বেরিয়েছি কিন্তু এই ঘরে কেউই মুক্ত না। আরেকটি বিষয় হলো, যারা সরকার কিংবা সরকারের পক্ষে কথা বলে, তারা পরিষ্কারভাবে সবকিছু অস্বীকার করে যায়। যার লজ্জা নেই, স্বীকার করার প্রয়োজন মনে করে না, তাকে তো দেখানোর কিছু নেই। আমার মনে হয় আমাদের স্ট্রাটেজিগুলো দাঁড় করাতে হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, ‘নির্বাচনে এতো বড় একটা অনিয়ম ঘটে গেছে, এটি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না। আপনারা ভাবতে পারেন যে আপনারা নির্বাচিত হয়েছেন, কিন্তু জনগণ জানে কী ঘটেছিল সেই রাতে। কাজেই সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মনে করি, রাষ্ট্র পরিচালনা করবে জনগণের প্রতিনিধিরা এবং সামাজিক চুক্তি বলে যে চুক্তি আছে তার নবায়ন ঘটাতে হবে। সেই সামাজিক চুক্তি চরমভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে। নাগরিক হিসেবে আমরা মনে করি, এটা জাতিকে বড় ধরনের বিপদের মুখে ফেলে দিয়েছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অধ্যাপক আসিফ নজরুল কমিটির নিবন্ধ পাঠ করেন। তিনি বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে

নজরদারি ও পর্যবেক্ষণের অপ্রতুল সুযোগের মধ্যেও এতো কারচুপির যে গুরুতর আলামত রয়েছে এবং নির্বাচনের প্রচারণাকালে নজিরবিহীন যেসব ঘটনা ঘটেছে, তা এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতাকে অসম্ভব করে তুলেছে। এমতাবস্থায় সংবিধান, গণতন্ত্র এবং মানুষের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য দেশে অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনও বিকল্প নেই। দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন— কমিটির সদস্য শিরীন হক, মানবাধিকার কর্মী হামিদা হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাকির হোসেন প্রমুখ।

খবর২৪ঘণ্টা, জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST