1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
পুত্রবধূর দ্বারা নির্যাতিত ৯০ বছরের বৃদ্ধা দম্পতির পাশে গুরুদাসপুরের ইউএনও - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ১১ জানয়ারী ২০২৫, ১২:০৫ অপরাহ্ন

পুত্রবধূর দ্বারা নির্যাতিত ৯০ বছরের বৃদ্ধা দম্পতির পাশে গুরুদাসপুরের ইউএনও

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৩ জুন, ২০২০

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে নব্বই বছরের বৃদ্ধ খোরশেদ আলী ও তার স্ত্রী আয়শা খাতুনকে (৭৫) ছোট ছেলের বউ মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ বয়সে তারা যাবে কোথায়। তাদের দুই ছেলে দুই মেয়ে। ছেলেমেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। নাতিপুতিও হয়েছে। বৃদ্ধ দম্পত্তির বাড়ি নাটোরে গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের দুর্গাপুর মধ্যপাড়া গ্রামে।
ওই গ্রামের প্রতিবেশি আকরামসহ অনেকে জানান, বৃদ্ধ দম্পতি একটি ছাপরা ঘরে থাকেন। তাও ঝড়ে ভেঙে গেছে। জোড়াতালি দিয়ে ওই ঘরেই থাকেন তারা। বয়ঃবৃদ্ধ হওয়ার কারণে ছেলে বাহারের স্ত্রী তাদের ভাল চোখে দেখে না। মাঝেমধ্যেই মারধর করে। খেয়ে না খেয়ে দুঃখ কষ্টে চলছে তাদের জীবন। বাড়িটুকু ছাড়া তাদের কোন সহায়সম্পত্তিও নেই। তিন ছোট ছেলের খরচে চলেন তারা। বড় ছেলে থাকেন ইশ্বরদী কিন্তু ছোট ছেলে বাহারের স্ত্রী মঞ্জু বেগম শশুর- শাশুড়ি কে মাঝেমধ্যেই মারধর করে। হাতের কাছে যখন যা পায় তাই দিয়ে মারে। প্রতিবাদ করলে ভাত দেয়না।
সোমবার (২২ জুন) দুপুরে গুরুদাসপুর থানায় আসার পথে তাদের কাছে থাকা ৪শ’ টাকাও জনৈক ভ্যানচালক নিয়ে চম্পট দিয়েছে। তাদের কান্নাকাটি দেখে চাঁচকৈড় বাজারের ব্যবসায়ী বাবু মোল্লা তাদের থানায় নিয়ে আসেন। পরে যে দেখা যায় থানার সামনে গাছতলায় বসে আছেন ও বৃদ্ধা দম্পতি।
বৃদ্ধ খোরশেদ বলেন, বয়স্কভাতা ছাড়া জীবনে কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাননি। এমনকি এই করোনাকালেও কোনো স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি-বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকেও কেউ খোঁজ নেয়নি। 
গুরুদাসপুর থানার ওসি মোঃ মোজাহারুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত পুত্র ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গুরুদাসপুর ইউএনও মোঃ তমাল হোসেন জানান, বিষয়টি  আমি সোমবার বিকেলে শুনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যাই। বৃদ্ধ স্বামী ও স্ত্রী দুজকেই বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে কিছু টাকা দিয়ে সাহায্য করি। ভাংগা বাড়ি মেরামতের দ্বায়িত্ব নিই। বৃদ্ধার ছোট ছেলে বাহারের স্ত্রী মুঞ্জু বেগমকে বলে আশি যাতে ও-ই বৃদ্ধা শশুর-শাশুরীকে নির্যাতন না করে। পরবর্তীতে আবার যদি বৃদ্ধা মা-বাবা কে নির্যাতন করে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।খবর২৪ঘন্টা /এবি

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST