1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
পুঠিয়ায় বিচারহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগী পরিবার - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন

পুঠিয়ায় বিচারহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগী পরিবার

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ২১ জুলা, ২০২২

রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিচার পাচ্ছে না দুইটি ধর্ষিতার পরিবার। পৃথক দুটি ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগ দিলেও রহস্যজনক কারণে আজও মামলাভুক্ত করেনি পুলিশ।

ভুক্তভোগিদের অভিযোগ, অভিযোগ পেয়েও পুলিশ অভিযুক্তদের আটক না করে বিষয়টি আপোস করতে চাপ দিচ্ছে। এদিকে সঠিক বিচারের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারেও ঘুরছে পরিবার দুইটি।

জানা গেছে, গত ১৭ মে বিকেলে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের খোকসা গ্রামের এক গৃহবধূ (২৫) ছাগল চরাতে বাড়ির পাশের বিলে যায়। সে সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একই গ্রামের লুতু শেখের ছেলে জহুর লাল (৩৫) ওই গৃহবধুকে একটি পাট ক্ষেতে তুলে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয় লোকজন ভুক্তভোগিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় পরেরদিন ভুক্তভোগির স্বামি বাদী হয়ে অভিযুক্ত জহুর লালের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দেয়।

ভুক্তভোগির স্বামি বলেন, আমরা গরীব মানুষ। আর অভিযুক্ত প্রভাবশালী। এ কারণে পুলিশ তাকে আটক করছে না। বরং এ ঘটনার পর থেকে কিছু টাকা নিয়ে বিষয়টি আপোস করতে অভিযুক্তসহ থানা পুলিশ চাপ দিচ্ছে।

অপরদিকে গত ৭ জুলাই একই ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের গৃহবধূ (২২) ঘরের কাজের জন্য মাটি আনতে বাড়ির পাশে একটি বাঁশঝাড়ের কাছে যায়। সেখানে ওই গ্রামের ফরমান আলী নামের (৪৫) ব্যক্তি তাকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগি পরেরদিন ৮ জুলাই ফরমান আলীকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। থানা পুলিশ বিষয়টি মীমাংসা করে দিতে মোল্লাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির একজন ইনচার্জকে দ্বায়িত্ব দেন। তবে ভুক্তভোগি ও তার পরিবার বিষয়টি আপোস করতে নারাজ।

ভুক্তভোগি ওই গৃহবধূ বলেন, ১০ হাজার টাকা নিয়ে এ ঘটনা ভুলে যেতে বলেন পুলিশ। তবে আমি এর সঠিক বিচার দাবী করছি। তিনি আরও বলেন, কিছুদিন থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাসহ সমাজপতিদের নিকটও অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

তবে থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, দু’টি ঘটনা আমার জানা আছে। এরমধ্যে গত ৭ জুলাই যেটা অভিযোগ দিয়েছে সেটি ধর্ষণ হয়েছে বলে মনে হয়নি। পারিবারিক ঝামেলার কারণে এই অভিযোগ হতে পারে। তবে ওই বিষয়টি মীমাংসা করতে মোল্লাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির একজন ইনচার্জকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

আর গত ১৭ মে ঘটনাটিও পারিবারিক ঝামেলার কারণে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দিয়েছে।
বিএ/

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST