পুঠিয়া প্রতিনিধি:রাজশাহীর পুঠিয়ায় চলতি বছর বর্ষা মৌসুমে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সর্বত্র ব্যাপক জলাবদ্ধাতা দেখা দিয়েছে। আর এই বদ্ধজলাশয় ও নর্দমায় আবর্জনার স্তুপের কারণে মশার উপদ্রব বেড়েছে। প্রতিবছর বাজেটে মোটা অংকের বরাদ্দ হলেও মশা নিধনে উধাসিন কর্তৃপক্ষ। তবে বিগত বছরের চেয়ে এবার মাত্রাতিরিক্ত মশার উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ লোকজন ডেঙ্গু আতংকে ভুগছেন।
জানাগেছে, উপজেলা পরিষদ থেকে কখনোই মশা নিধনের কোনো প্রকার কার্যক্রম চালু করেনি। অপরদিকে পুঠিয়া পৌরসভা গঠনের ১৮ বছরেও সে সুবিধা পায়নি পৌরবাসী। কিন্তু নাগরিক সুবিধার্থে নিয়মিত এলাকা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন, সড়ক বাতি, পানি নিস্কাশন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও মশা নিধন কার্যক্রম অব্যহত রাখার নিয়ম রয়েছে। পৌরসভা গঠনের পর দীর্ঘ ১৪ বছর প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে গত প্রায় সাড়ে চার বছর থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি (মেয়র) দ্বায়িত্ব পালন করছেন। অথচ এখনো পর্যন্ত পৌরবাসী মশা নিধন সুবিধা পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে উপজেলার ইউনিয়ন এলাকা গুলোর পাশাপাশি পৌর এলাকায় মশার উপদ্রব ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে।
মারুফ হোসেন নামে একজন পৌরবাসী বলেন, নিয়মিত কর দিয়েও নাগরিকরা তাদের প্রাপ্য সেবা থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছেন। এ যাবত পর্যন্ত আমাদের এলাকায় কখনও মশা মারার কার্যক্রম চালায়নি পৌরসভা। শুধুমাত্র রাস্তার কয়েকটি স্থানে আলোকবাতি লাগিয়ে নামমাত্র নাগরিক সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
পৌর মেয়র রবিউল ইসলাম রবি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ওয়ার্ডে ফর্গারের মাধ্যমে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। অপরদিকে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য বিভিন্ন নর্দমা-নালা গুলো সংস্কারের পাশাপাশি রাস্তার পাশে ঝোপঝাড় ও আর্বজনার স্তুপ গুলো পরিস্কার করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান বলেন, পৌরসভাসহ পুরো উপজেলায় এবার ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। আর জলাব্ধতার কারণে মশার উপদ্রব বাড়বে এটা সাভাবিক। জলাব্ধতা নিরসনের পাশাপাশি নর্দমা গুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা রাথকে ইতিমধ্যে সকল ইউপি চেয়ারম্যানদের নিদের্শ দেয়া হয়েছে। আর পরিষদের মশা নিধনের ফর্গার মেশিন আছে। কোনো চেয়ারম্যান চাইলে আমরা সে ফর্গার গুলো সরবরাহ করবো।
খবর২৪ঘন্টা/নই