পুঠিয়ার বানেশ্বর হাটে জবাইকৃত পশুর বর্জ ও উচ্ছিষ্টে পরিবেশ দুষিত হচ্ছে
প্রকাশের সময় :
বৃস্পতিবার, ১১ জুলা, ২০১৯
পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর হাটে জবাইকৃত পশুর বর্জ ও উচ্ছিষ্টে মাধ্যমে প্রতিনিয়ত পরিবেশ দুষিত হচ্ছে।
হাট কতৃপক্ষের নজরদারীর অভাবে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে বানেশ্বর হাটের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।
সরজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার পুঠিয়া উপজেলার তথা উত্তরবঙ্গের বৃহত্তর এই হাটটিতে বিভিন্ন পণ্য বেচাকেনা করা জন্য দুরদুরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা আসেন। হাটের দুইদিন প্রায় অর্ধশত গরু, মহিষ, ছাগল জবাই করা হয়। এই সব জবাইকৃত পশুর বর্জ ও উচ্ছিষ্ট মাংস হাটার পাশে বর্জ ও গরু, মহিষ ও ছাগলের হাড়, মাথা, মাথার চামড়া খোলা যায়গায় ফেলে রাখা হয়।
এতে মাংস হাটার ছাড়াও আশে পাশের পরিবেশ দুষিত করছে ছাড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। মাংস হাটে পার্শ্বের পান হাটা, তরকারী হাটা ছাড়াও হাটের দক্ষিণ পশ্বিম পার্শের ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত দুর্গন্ধে বিপাকে পড়ছে। এসব ব্যবসায়ী ও হাটে আশা ক্রেতারা মাংস হাটার দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে পরে। বর্তমানে নিরুপায় হয়ে মাংস হাটায় ক্রেতার যাচ্ছেন। হাটে ব্যবহায়ীদের মধ্যে অনেকেই মাংস হাটার আশেপাশে বেচাকেনা করতে অনিহা প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
বানেশ্বর বাজরের দোকানদার ইয়াদুল, আব্দুর রাজ্জাক, রুমি আলী, তাপস পালসহ অনেক দোকানদার অভিযোগ করে বলেন, হাটের দিন ছাড়াও অন্যান্য দিনে আমাদের দুর্গন্ধের সাথে থাকতে হয়। অনেক সময় দুর্গন্ধের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়তে হয়। এই দুর্গন্ধের কারণে দিনদিন বেচাকেন কমে যাচ্ছে বলে তার জানান। হাট কমিটিকে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না।
এব্যপারে বানেশ্বর ইউনিয়নের চেয়াম্যান ও বাজার ও হাট কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী সুলতান জানান, মাংস হাটার পাশে দুইটি ডাসবিন তৈরি করে দেওয়া হবে যাতে সেখানে জবাইকৃত পশুর উচ্ছিষ্ট গুলো ফেলা হয়। উচ্ছিষ্ট গুলো হাট শেষে তা অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে। এছাড়াও আগামী মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে পশু জবাইয়ের জন্য হাটের পর্শ্বের মৌগাছি নদীর পাড়ে টিনের সেড ও গর্ত করে দেওয়া হবে সেখানে পশু জবাই ও তার বর্জ ফেলার জন্য। তাতে হাটের পরিবেশ দুষণ মুক্ত হবে বলে তিনি জানান। #